আলিপুরদুয়ারের শিল্পতালুকে বিনিয়োগের আবেদন একাধিক শিল্পোদ্যোগীর
জলপাইগুড়ি থেকে পৃথক জেলা হওয়ার পর আলিপুরদুয়ারের এথেলবাড়ি ও জয়গাঁয় শিল্পতালুক তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। সীমানা পাঁচিলের কাজ শেষ করে সম্প্রতি দু’টি শিল্পতালুকের জমি জেলা শিল্পদপ্তর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (ডব্লুবিএসআইডিসি) হাতে তুলে দিয়েছে। জমি হস্তান্তর হওয়ায় ডব্লুবিএসআইডিসি শিল্পতালুকের প্লট বিক্রির জন্য উদ্যোগপতিদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করেছে। একসঙ্গে দু’টি শিল্পতালুক হওয়ায় জেলার উদ্যোগপতিদের মধ্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে। জেলা হওয়ার আগে আলিপুরদুয়ার শিল্পহীন মহকুমা ছিল। স্পেশাল ইকনমিক্স স্টেটাস হিসেবে নতুন জেলা আলিপুরদুয়ারকে রাজ্য সরকার শিল্পনীতির ‘সি’ ক্যাটিগরিতে রেখেছে। সেই মর্যাদা দিয়ে অসম-বাংলা সীমানায় পর্যটন ও চা নির্ভর প্রান্তিক এই জেলায় শিল্পের প্রসারের জন্য রাজ্য সরকার ফালাকাটার এথেলবাড়ি ও ভারত-ভুটান আন্তর্জাতিক সীমান্তে থাকা কালচিনির জয়গাঁকে বেছে নেয়।
জেলা শিল্পদপ্তরের জেনারেল ম্যানেজার বিভাস বসু বলেন, এথেলবাড়ি ও জয়গাঁয় শিল্পতালুকের জমির সীমানা পাঁচিল তৈরির কাজ শেষ করে ওই জমি ডব্লুবিএসআইডিসি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এবার ডব্লুবিএসআইডিসি ওই দুই শিল্পতালুকের জমি প্লট করে উদ্যোগপতিদের বিলি করবে। এ জন্য তারা অনলাইনে আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ডব্লুবিএসআইডিসি’র কাছে কতজন ব্যবসায়ী শিল্পতালুকের প্লট নেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন তা জানা যায়নি। শিল্পতালুকের জমির দর কত তাও বলা হয়নি। তবে শিল্পতালুকে জমি নিয়ে কারখানা গড়ে তোলার জন্য যাতে জিএসটি, বিদ্যুতের বিল, জমির রেজিস্ট্রেশন ফি ও ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যায়, তা নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন করতে উদ্যোগী হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, আলিপুরদুয়ার জেলা রাজ্যের শিল্পনীতির ‘সি’ ক্যাটিগরিতে। আমাদের দাবি, শিল্প কারখানা গড়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিতে স্পেশাল ইকনমিক্স স্টেটাস হিসেবে আলিপুরদুয়ারকেও সরকার মর্যাদা দিক।
২০১৪ সালে পৃথক জেলা হয় আলিপুরদুয়ার। ২০১৮ সালে ফালাকাটার এথেলবাড়ি ও কালচিনির জয়গাঁয় জমি অধিগ্রহণ করে শিল্পদপ্তর শিল্পতালুক গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। সেই শিল্পতালুকেই এবার উদ্যোগপতিরা ছোট ছোট কলকারখানা তৈরি করবেন।