ট্যুইটারে বন্ধ তৃণমূলকে খোঁচা, ভোল বদলানো ধনখড়কে নিয়ে জল্পনা নেটদুনিয়ায়
অলিম্পিক্সের হইচই কাটতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে, ট্যুইটারের স্বভাবসিদ্ধ বাক্যবাণ থেকে হঠাৎই বিরত বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি ট্যুইটারে আছেন, কিন্তু নেই। দূরদর্শন কেন্দ্রের জন্মদিন, নীরজ চোপড়াকে অভিনন্দন, অন্ধ্রপ্রদেশের অন্যায়- এসবে আছেন। নেই রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করতে। চুপ ত্রিপুরা নিয়েও।
ব্যাপারটা ঠিক কী হতে পারে, কেন চুপ মেরে গেলেন রাজ্যপাল, যাঁকে আড়ালে নিন্দুকেরা পদ্মপাল বা রাজ্যে বিজেপির সব থেকে জোরালো গলা বলে মনে করে?
কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দিল্লি পৌঁছনোর পর সাক্ষাত করেন জৈন-হাওয়ালা কাণ্ড সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আনা সাংবাদিক বিনীত নারায়ণের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, বিনীত নারায়ণ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, জৈন হাওয়ালা কেসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তার সত্যতা রয়েছে। এনিয়ে সব তথ্য তিনি দিতে তৈরি।
উল্লেখ্য, জৈন হাওয়ালা মামলায় এখনওপর্যন্ত কারও শাস্তি হয়নি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তিন দশক পুরনো জৈন হাওয়ালা মামলায় নাম রয়েছে জগদীপ ধনখড়ের। গত ২৮ জুন এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, সেই সময়কার এক সাংবাদিক আমাকে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। ওই মামলায় নাম ছিল জগদীপ ধনখড়ের। এখনও একটি রিট পিটিশন পড়ে রয়েছে। তাঁকে ধনখড়ের নাম রয়েছে।
ধনখড়ের নিস্তব্ধতা দেখে মনে হচ্ছে, নিজে কাঁচের ঘরে থেকে তিনি আর অন্যের বাড়িতে ইট পাটকেল ফেলাটা নিরাপদ বলে মনে করছেন না।