ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রচারে যাচ্ছেন দেব? জল্পনা তুঙ্গে
ত্রিপুরা জয়ে এবার তৃণমূলের সেনাপতি দেব। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই ত্রিপুরা যেতে পারেন তারকা সাংসদ। যদিও সফরের দিনক্ষণ এখনও ধার্য হয়নি বলেই খবর। এবিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি দেব।
একুশের বঙ্গভোটে বিপুল জয়ের পরই জাতীয় রাজনীতিতে দলের গুরুত্ব বাড়াতে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। এখন তাঁদের লক্ষ্য বিপ্লব দেবের ত্রিপুরা। পড়শি রাজ্য দখলে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। ইতিমধ্যেই একাধিক কর্মসূচিতে দলের নেতারা গিয়েছেন ওই রাজ্যে। আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও পিছিয়ে আসতে রাজি নন তাঁরা। সকলের লক্ষ্য, ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার গঠন।
সেই লক্ষ্যেই এবার অভিনেতা-সাংসদ দেবের উপর ভরসা করছে দল। জানা গিয়েছে, অতি শীঘ্রই ত্রিপুরায় যাবেন তিনি। সেখানে ঠাসা কর্মসূচি তাঁর। সাংসদ দেব বরাবরই আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। হিংসা নয়, বরাবরই সকলকে পাশে নিয়ে, সকলের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলার কথা বলেন তিনি। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে তাঁর এই ত্রিপুরা সফর যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে কর্মসূচিতে যোগ দিতে ত্রিপুরা গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা-সহ অন্যান্যরা। তা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজনীতি। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দেবাংশু-জয়া-সুদীপ-সহ একাধিক নেতাকে। তাঁদের উদ্ধারে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পরবর্তীতে দোলা সেন, অপরূপা পোদ্দাররাও আক্রান্ত হন ত্রিপুরায়। যার ফলে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ঘটনার জন্য খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে বিনা লড়াইয়ে জমি ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল। সেই কারণেই এবার বিপ্লব দেবের রাজ্যে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করতে ‘লড়াইয়ে’ দেব।