মহিলাদের ‘ভিখারি’ বলার জের, দিলীপ ঘোষের নামে এফআইআর দায়ের
মহিলাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। চলছে জোরকদমে আবেদন সংক্রান্ত কাজ। আগামী মাস থেকে মিলবে প্রকল্পের সুবিধা। আর এই প্রকল্প নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রকল্পের বিরোধিতায় সরব গেরুয়া শিবির। এই প্রকল্প নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন টুসু হাজরা নামে এক মহিলা।
দিনকয়েক আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘ভিড় করার জন্যই দুয়ারে সরকার হচ্ছে। ৫০০ টাকার জন্য ভোর ৪টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছেন রোদে। এটা জনসেবা হতে পারে না। মানুষকে ভিখারি বানিয়ে রাস্তায় দাঁড় করানো হচ্ছে। মোদিজিকে দেখুন। সাধারণ মানুষকে তিনি হাজার হাজার টাকা দিচ্ছেন। ঘরে বসেই তাঁরা সেই টাকা পাচ্ছেন’।
তারই প্রতিবাদে সালকিয়ার সীতানাথ বোস লেনের বাসিন্দা টুসু হাজরা। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আবেদন জমা দেওয়া মহিলাদের ভিখারি বলায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। তিনি বলেন, ‘আমি লাইনে দাঁড়িয়ে এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছি। এই জনমুখী প্রকল্পে লাখ লাখ মহিলা আবেদন করছন। কোন অধিকারে দিলীপ ঘোষ তাঁদের ভিখারি বলতে পারেন। দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের প্রতিবাদে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করব। তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে’। যদিও এ প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। ক্যাম্পে গেলে বিনামূল্যেই মিলছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ফর্মও। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকবে। সাধারণ বা জেনারেল মহিলারা পাবেন ৫০০ টাকা। তফশিলি জাতি ও উপজাতি এবং আদিবাসী মহিলারা পাবেন প্রতি মাসে ১০০০ টাকা। রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা এই টাকা পাবেন। সরকারি চাকুরিরতা এবং পেনশন প্রাপকরা এই পরিষেবা পাবেন না। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার কথা।