এবার দৃষ্টিহীনদের জন্যও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প
রাজ্যে এবার দৃষ্টিহীনদের জন্যও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা। দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Lakshmi Bhandar) মতো জনহিতকর প্রকল্পগুলি বিশেষভাবে সক্ষম দৃষ্টিহীনদের (Blind) কাছে তুলে ধরতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য। এই প্রকল্পগুলি এবার চালু হল ব্রেইল (Braille) পদ্ধতিতে। এই প্রকল্পগুলি সংক্রান্ত সব তথ্য এবার থেকে ব্রেইলের মাধ্যমে জানতে পারবেন তাঁরা। বিশেষভাবে সক্ষম মানুষেরা যাতে সরকারের এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সল্টলেকের শুভান্ন দফতর থেকে এমনটাই জানালেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। মঙ্গলবার তিনি এই ব্রেইল পদ্ধতিতে জনহিতকর প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) বলেন, ‘বিশেষভাবে সক্ষম মানুষরা দুয়ারের সরকার প্রকল্পের বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার এবার থেকে নিজেরাই বুঝে নিতে পারবেন। কারও সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে না। সরকার এত বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত ধরনের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে দুয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চলছে, অথচ অনেকে এর থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি আসলে কী এবং এর মাধ্যমে রাজ্যের কোন কোন বর্গের মানুbraille ষ কী ধরনের সুবিধা পাবেন, সবকিছু ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখা থাকবে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে রাজ্যের মা-বোনেরা হাত খরচ বাবদ মাসে মাসে পাঁচশো টাকা করে পাবেন। সেই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন দৃষ্টিহীন মানুষরাও।’ জানা গিয়েছে, এই কর্মযজ্ঞে ভয়েস অফ ইন্ডিয়া নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড স্কুল অন্যান্য ব্লাইন্ড স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে প্রতিনিধিরা সক্রিয় ভূমিকায় অংশগ্রহণ করেন।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সরকারি দফতরে ব্রেইল ভাষায় সরকারি সমস্ত প্রকল্পের পোস্টার টানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ব্রেইল পদ্ধতিতে পোস্টার-ব্যানার টানানো হবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের বহু সংখ্যক মানুষ দৃষ্টিহীন। তাঁদের সরকারের যে জনপ্রিয় প্রকল্প সম্পর্কে অবহিত করতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই ব্রেইল পদ্ধতি চালু করার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্যজুড়ে।
অন্যদিকে, এদিন অনুষ্ঠানের ফাঁকে রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের হাতে ইউনিফর্ম শাড়ি তুলে দেন মন্ত্রী। অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi Workers) কর্মীরা অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলিতে কাজ করছেন। রাজ্যে বর্তমানে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮১টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে।