ভবানীপুরে মমতার হয়ে প্রচারে নামতে পারেন বাবুল?
প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের (Priyanka Tibrewal) ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার খবরে আনন্দিত হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়৷ ফেসবুক পোস্টে বিজেপি প্রার্থীকে অভিনন্দনও জানিয়ে ছিলেন৷ সেই অভিনন্দনের এক সপ্তাহ পরেই তাঁরই বিরুদ্ধে প্রচারে নামার ইঙ্গিত দিলেন আসানসোলের সাংসদ৷ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের প্রচারে হেভিওয়েটদের তালিকায় বাবুল সুপ্রিয়-র নামও রেখেছিল রাজ্য বিজেপি৷ যদিও পরে তা না করে দেন বাবুল৷ বরং, এখন প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধেই ভবানীপুরের প্রচারে নামার সম্ভবনা প্রবল হয়ে উঠেছে৷ কারণ, তিনি শনিবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন৷
এ দিন বাবুল বলেন, মাত্র দিন-চার দিনের ভাবনা চিন্তায় তৃণমূলে যোগদানের সিদ্ধান্ত৷ তৃণমূলে যে কাজ দেওয়া হবে সেটাই করব৷ দিদির সঙ্গে কথা হয়েছে৷ সোমবার ভবানীপুরে দিদির সঙ্গে দেখা করতে যাব৷ ’ এরপরই সাংবাদিকরা বাবুলের কাছে জানতে, তাহলে তিনি কি ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নামবেন? বাবুল বলেন, যেখানে দিদি প্রার্থী সেখানে প্রচারের দরকার নেই৷ তবে, দল চাইলে ভবানীপুরে প্রচারে নামব৷ ’
তবে, ১০ সেপ্টেম্বর ফেসবুক পোস্টে বাবুল লিখেছেন, ‘অনেক অভিনন্দন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে৷ অত্যন্ত উদ্যমী মেয়ে৷ লড়াকু নেত্রী৷ অনেক আইনি লড়াইয়ে আমাকে সাহায্য করেছে৷ নির্দিষ্ট কারণে একসময় তাঁকে দলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করেছিলাম৷ আজ তাঁর জন্য আমি অত্যন্ত খুশি৷ জীবনে জয়-পরাজয়টা সব নয়৷ আসল হল, কঠিন যুদ্ধে লড়াই করার সাহস দেখানো৷ প্রিয়াঙ্কার জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল৷ আমি সবসময় তরুণদের দলে এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ দিয়েছি৷ সবসময় তাঁদের সমর্থন করেছি৷ আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনে তাঁরা দলকে গর্বিত করবে৷’
অগস্টের শুরুতে ফেসবুক পোস্টে বাবুল দাবি করেন, রাজনৈতিক কোনও অনুষ্ঠানে বা দলীয় কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন না। সাংসদ হিসেবে আসানসোলের উন্নতিতে কাজ চালিয়ে যাবেন।
তার আগে ৩১ জুলাই শনিবার বিকালের পর থেকে বাবুলের ফেসবুক পোস্টে শুরু এবং শেষে লেখেন, চললাম অলবিদা৷ তার পরই বাবুলের রাজনীতিকে বিদায় জানানো নিয়ে চর্চা শুরু হয়। ওই পোস্টে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে বাম, কংগ্রেস বা তৃণমূলের মতো কোনও দলে তিনি যাচ্ছেন না। তেমন কোনও প্রস্তাব তাঁকে কেউ দেয়নি।