রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ভবানীপুরে দিদিকেই ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত বৌদির

September 20, 2021 | 2 min read

দিদির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন বৌদি! সালটা ছিল ২০১৬। জিততে পারেননি। ভবানীপুরের বুকে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে যখন প্রতিদিনই ধস নামছে, তখন ২০২১ সালের উপনির্বাচনে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সিদ্ধান্ত তুলে ধরে কর্মীদের বার্তা দিলেন দীপা দাশমুন্সি (Deepa Dasmunsi)। কার্যত দিদিকেই ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত বৌদির।রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রর নির্বাচন আগামী ৩০ সেপ্টম্বর। জঙ্গিপুর, সামসেরগঞ্জে নির্বাচন থাকলেও রাজনীতিবিদদের নজর মূলত ভবানীপুরে। ‘ঘরের মেয়ে’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী। ফলে স্বাভাববিকভাবেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মহলের কৌতূহল তুঙ্গে। মমতাকে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ী করতে পুরোদমে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন মন্ত্রী, সাংসদ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। আর এই প্রেক্ষাপটেই দেখা গেল, প্রার্থী না দিয়ে মমতার প্রতি সমর্থন বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এই অবস্থায় ২০১৬ সালে মমতার বিরুদ্ধে লড়াই করা দীপা দাশমুন্সিও তুলে ধরেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ। তাঁর বক্তব্য, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি। ফলে কর্মীদের কাছেও বার্তাটা স্পষ্ট, দিল্লি কী চাইছে। মূল বিষয় বিজেপিকে হারানো।

রাজনৈতিক মহল বলছে, দীপাদেবী তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেস কর্মীরা ভোট দেবেন মমতাকেই। এর আগে এই বার্তাটাই তুলে ধরেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে না, তখন দিল্লির বার্তাটা সকলের বোঝা উচিত। প্রসঙ্গত, মমতার সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর। দিন কয়েক আগে দিল্লি সফরে গিয়ে সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠকও করেন মমতা। ওই বৈঠকে ছিলেন রাহুল গান্ধীও। বিজেপি-বিরোধী লড়াই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ভবানীপুরে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে ক্রমশ ধস নামছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১৬ সালের নির্বাচনে সিপিএম-কংগ্রেস জোট গড়ে লড়েছিল ভবানীপুরে। প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির স্ত্রী দীপাদেবী (বৌদি) লড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মমতা পেয়েছিলেন ৪৭.৬৭ শতাংশ ভোট (৬৫৫২০)। যেখানে দীপা পেয়েছিলেন ২৯.২৬ শতাংশ ভোট (৪০২১৯)। এরপর ২০২১ সালের নির্বাচনেও সিপিএম-কংগ্রেসে জোট গড়ে লড়াই করে। কংগ্রেস প্রার্থী সাদাব খান পেয়েছিলেন মাত্র ৪.০৯ শতাংশ ভোট (৫২১১)। কংগ্রেসের ভোট কমেছে ২৫.১৭ শতাংশ। আর এখানেই দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ বলেন,২০১৯ সালে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা ও ২০২১ সালে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী বাছাই সঠিক হয়নি। তাই ভোটের ফল খুব খারাপ হয়েছিল। আসন্ন উপনির্বাচনে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট উজাড় করে দেবেন। ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন তিনি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Deepa Dasmunsi, #Mamata Banerjee, #Bhabanipur

আরো দেখুন