আরও ১০০ ট্রেনে আসবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা, কিন্তু সকলের স্বার্থেই তা ধাপে-ধাপে: মমতা
বিরোধীরা যতই প্রশ্ন তুলুন না কেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে তিনি যে আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বললেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে আসছেন। আরও ১০০ ট্রেনে আসবেন। কিন্তু তা ধাপেধাপে করতে হবে। কারণ স্ক্রিনিং ছাড়া আমরা তাঁদের বাড়িতে পাঠাতে পারি না। তাই ধৈর্য ধরুন, আমরা সকলকে ফেরাব। তাঁরা তো আমাদেরই লোক। আমাদের আত্মীয়।’
শুধু তাই নয়, এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ মার্চ প্রথম করোনা ঢোকে বাংলায়, সেটাই বাইরের যোগ। তারপর থেকে ১ লক্ষ লোক ঢুকেছে বাংলায়। বাসে প্রায় ৯০০০০ মানুষ বাইরে থেকে এসেছে। একসঙ্গে এত মানুষ ঢোকানো যায় না, স্ক্রিনিং করতে হয়, তাঁদের এবং রাজ্যবাসীর জন্যে।’
এদিন তিনি সকলেই অনুরোধ করেন, ‘যাঁরাই যেখান থেকে আসছেন, তাঁরা নির্দিষ্ট জেলার এসপি ও ডিএমদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবাইকে আমরা গ্রহণ করব। কিন্তু যোগাযোগ করে আসুন।’
উল্লেখ্য, পরিষেবা বন্ধের ৫০ দিনের মাথায় আজ, মঙ্গলবার ফের প্যাসেঞ্জার ট্রেন ট্র্যাকে নামাচ্ছে ভারতীয় রেল। গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর পর মধ্যরাত থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশে যাত্রী পরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। এর পর থেকে তিন দফার লকডাউনের মধ্যে সারা দেশে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র মালবাহী ও শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালিয়েছে কেন্দ্র। তার পর এই প্রথম সাধারণ যাত্রীদের নিয়ে যাত্রা করবে ১৫ জোড়া বিশেষ প্যাসেঞ্জার ট্রেন। আর রবিবার রাতের ঘোষণার পর সেই ট্রেনের টিকিটের চাহিদা এতটাই ঊর্ধ্বমুখী যে, সোমবার বিকেলে আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে অনলাইনে বুকিং শুরুর মাত্র ৩ মিনিটেই বিকিয়ে গিয়েছে মঙ্গলবারের হাওড়া-নয়াদিল্লি এসি সুপারফাস্ট স্পেশ্যালের সব টিকিট! এক ঘণ্টার ব্যবধানে বুকিং শেষ আগামী ৭ দিনেরও।