পুজোর ভিড় সামলাতে বৈঠকে কলকাতা পুলিশ, দর্শনার্থীদের সাথে ভালো ব্যবহার করার পরামর্শ
পুজো প্যান্ডেলে আগত দর্শকদের সঙ্গে যথাসম্ভব ভালো ব্যবহার করতে হবে। এতে কলকাতা পুলিসের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনে পুলিস অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিস কমিশনার সৌমেন মিত্র। পুজোকে কার্যত জনসংযোগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে লালবাজার।
গতবারের তুলনায় এবার পুজো প্যান্ডেলে দর্শক সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিপি। কারণ, করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষের ভীতি এখন অনেকটাই কেটে গিয়েছে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যে অনেকেই ডাবল ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে পুজোর দিনগুলিতে অতীতের মতো ভিড় সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে। এবার অষ্টমী থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হলে প্যান্ডেল সংলগ্ন এলাকায় জল জমতে পারে। সেক্ষেত্রে পুজো প্যান্ডেলের আশপাশ থেকে জল নিকাশির বিকল্প ব্যবস্থার জন্য পুলিসকে তৈরি থাকতে হবে।
প্রতি বছরের মতো এবার পুজোয় চতুর্থীর বিকেল থেকেই পথে নামছে কলকাতা পুলিস। তিনটে শিফটে প্রতিদিন প্রায় ষোলো হাজার পুলিসের পথে নামার কথা রয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের অপেক্ষাকৃত বড় পুজো এবং ‘স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে’ ৪৭টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। এই টাওয়ার থেকে পুলিস কর্মীরা মূলত নাইট ভিশন বাইনোকুলারের সাহায্যে ভিড়ের মধ্যে নজরদারি চালাবেন।
পুজো উপলক্ষে এবারও বাড়তি সিসি টিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিস। শহরের ৭৪টি স্থানে অতিরিক্ত সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এছাড়াও ভাসান উপলক্ষে গঙ্গার ঘাটেও অতিরিক্ত সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে। প্রাইভেট কার নিয়ে পুজো দেখতে আসা দর্শকদের সুবিধার জন্য শহরের ৬৮টি পুজো প্যান্ডেল সন্নিহিত এলাকায় পার্কিং তৈরি করা হবে।
এছাড়াও পুজোর দিনগুলিতে অতিরিক্ত ২৬টি পিসিআর ভ্যান, ১১টি হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ১৩টি স্পেশাল হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড এবং ৩১টি র্যাপিড সিটি পেট্রল চব্বিশ ঘণ্টা শহরে নজরদারি চালাবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিস কমিশনার সৌমেন মিত্র জানিয়েছেন, এবার পুজোয় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ও রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা কার্যকর করতে সক্রিয় থাকবে কলকাতা পুলিস। পুজোকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের জারি করা নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে মেনে চলা হবে।