বিদেশের মাটিতে বাঙালির দুর্গাপুজো কেমন হয় শহরবাসীকে তাই দেখাবে সল্টলেকের এফ ডি ব্লক
বিদেশের মাটিতে বাঙালির দুর্গাপুজো কেমন হয়? এবারে তার স্বাদ শহরবাসীকে পৌঁছে দেবে সল্টলেকের এফ ডি ব্লকের পুজো। চার্চের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছে তারা। তবে আদতে সেটি এক প্রবাসী বাঙালির বাড়ি। বাইরে থেকে চার্চ মনে হলেও মণ্ডপের ভিতরে ঠিক বাড়ির মতো করে সবকিছু তৈরি করা হয়েছে। তার ভিতরে ডাকের সাজে সজ্জিতা উমার অবস্থান।
করোনার কারণে মণ্ডপে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিচার করে এবার প্রাথমিকভাবে কম বাজেটে পুজো করতে উদ্যোগী হয় এফ ডি ব্লক। পরে আবাসিকদের দাবি মেনে বাজেট কিছুটা বাড়িয়ে বিশেষ ভাবনা নিয়ে পুজোর আসরে নেমেছেন উদ্যোক্তারা। অষ্টমীর অঞ্জলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল মাধ্যমের বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এফ ডি ব্লকের একটি ইউ টিউব চ্যানেল রয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রেকর্ড করে সেখানে ‘আপলোড’ করলে ব্লকের প্রত্যেকের কাছে তা পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি, বাড়ি থেকেই অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে পারবেন বাসিন্দারা। সল্টলেকের জি ডি ব্লক এবার বাঁশের কাঠামোর উপর কাপড়ের কারুকাজ দিয়ে মণ্ডপ সাজাচ্ছে। তার মধ্যে আসীন হবেন একচালার সিংহবাহিনী। লালপেড়ে শাড়ি থাকবে দেবীর পরণে। মণ্ডপ ও প্রতিমাতে বিশেষ কোনও চমক না থাকলেও চোখধাঁধানো আলোকসজ্জায় তারা নজর কেড়ে নেবেন বলে জানান এই পুজো কমিটির সম্পাদক দিলীপকুমার দাস।
চন্দননগরের আলোয় সেজে উঠবে চারপাশ। সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, প্যান্ডেলের ভিতর দু’টি স্যানিটাইজার মেশিন বসানো হয়েছে। প্রতিমা দর্শনের জন্য পুজো কমিটির মাঠে ১৫ জন করে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। পুজোর নিরাপত্তা রক্ষীদের টিকার ডবল ডোজ নিশ্চিত করা হয়েছে। এ এ ব্লকের পুজোয় কুমোরটুলি থেকে ডাকের সাজের সাবেকি প্রতিমা নিয়ে আসা হয়েছে। চন্দননগর থেকে আলো নিয়ে এসে গোটা ব্লক চত্বর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পুরো এলাকায় লাগানো হয়েছে মাইক। তাতে ঘরে বসেই পুজোর মন্ত্র শুনতে পাবেন বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা। এই ব্লকের সম্পাদক পার্থ চক্রবর্তী বলেন, করোনা চলে যাক। শিশুরা যাতে আবার আগের মতো করে পুজোয় মাততে পারে, সেই কামনাই করি। তার জন্য এবার একটু সংযম দেখানোই ভালো।