আব্বাস সিদ্দিকিকে মঞ্চে দেখেই ভাষণ থামালেন অধীর, পা বাড়ালেন নিজের চেয়ারের দিকে

সব মিলিয়ে ভোট ঘোষণার পরও চূড়ান্ত নয় জোটের স্বরূপ।

February 28, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ভোটের আগে জোটের ঐক্য দেখাতে গিয়ে মুখ পুড়ল বামেদের। আব্বাস সিদ্দিকি মঞ্চে উঠতেই ভাষণ বন্ধ করে পোডিয়াম ছাড়তে উদ্যত হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বুঝিয়ে সুঝিয়ে যদিও তাঁকে দিয়ে ফের বক্তৃতা শুরু করান বাম নেতারা। কিন্তু তাতে অস্বস্তি আড়াল করা যায়নি। 


রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী যখন বক্তব্য রাখছেন তখনই মঞ্চে ওঠেন ISF-এর পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকি। সঙ্গে সঙ্গে ময়দান জুড়ে চিৎকার জুড়ে দেন তাঁর সমর্থকরা। উন্মাদনা চরমে পৌঁছয়।  শোরগোল এতটাই বেড়ে যায় যে ভাষণ থামাতে হয় অধীরকে। ওদিকে আব্বাসকে তখন মঞ্চে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত বাম নেতারা। এরই মধ্যে হঠাৎ পোডিয়াম থেকে নেমে পড়তে উদ্যত হন অধীর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাধা দেন বিমান বসু। এর মধ্যে আব্বাসও তাঁর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। ফের বক্তব্য শুরু করেন অধীর।

এখানেই অস্বস্তির শেষ নয়। নিজের বক্তব্যের শেষেও আব্বাস স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আসনরফায় কংগ্রেসের আচরণে সন্তুষ্ট নন তিনি। এদিন ভাষণে বার বার বাম শরিক প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান জানান আব্বাস। কিন্তু কংগ্রেসের নাম তাঁর মুখে একবারও শোনা যায়নি। বক্তব্যের শেষে আব্বাস বলেন, ‘অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, বাম শরিক দলের কথা বললেন, আপনি কংগ্রেসের বেলায় বললেন না কেন? স্পষ্ট জানিয়ে দিই, ভাগিদারি করতে এসেছি, তোষণ করতে আসিনি। ভাগিদারি চাই। আদিবাসী, ওবিসি ও মুসলিমদের হক বুঝে নিতে হবে। কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়ালে দরজা খোলা আছে।’

সূত্রের খবর, বামেরা আব্বাসকে ৩০টি আসন ছাড়লেও কংগ্রেস মালদা, মুর্শিদাবাদের মতো জেলায় তাদের কোনও আসন ছাড়তে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে শনিবার জোটের বৈঠকে হাজির হননি আব্বাস। ওদিকে অধীরবাবুদের অনমনীয় মনোভাবের জন্য জোট আলোচনা থেকে নিষ্কৃতি চেয়ে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন আবদুল মান্নান। সব মিলিয়ে ভোট ঘোষণার পরও চূড়ান্ত নয় জোটের স্বরূপ। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen