১০ বছর পর খুলে গেল কলকাতার নস্ট্যালজিয়া ‘মেট্রো’ সিনেমা
জানা গিয়েছে, মেট্রো রিয়্যালিটি গ্রুপের তরফে দুটি স্ক্রিন ও ৪২২টি দর্শকাসন নিয়ে খুলেছে এই প্রেক্ষাগৃহ।

১০ বছর পর নস্ট্যালজিয়ায় ভাসলেন সিনেপ্রেমীরা। তাঁদের জন্য ফের খুলে গেল ‘মেট্রো’ সিনেমার দরজা। কলকাতাবাসীর আবেগে মিশে থাকা মেট্রো সিনেমা (METRO CINEMA) হল এবার নতুন রূপে, নতুন নামে। ২০ জানুয়ারি থেকে ধর্মতলার বুকে খুলে গিয়েছে মেট্রো আইনক্স (Metro Inox)। জানা গিয়েছে, মেট্রো রিয়্যালিটি গ্রুপের তরফে দুটি স্ক্রিন ও ৪২২টি দর্শকাসন নিয়ে খুলেছে এই প্রেক্ষাগৃহ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেট্রোর পুরনো ইতিহাস ও ঐতিহ্য বাজায় রেখেই তৈরি হয়েছে নতুন প্রেক্ষাগৃহের ডিজাইন। তিনটি ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে মেট্রো আইনক্স। বাংলা ছবি ‘প্রেম টেম’, হলিউড ছবি ‘টম অ্যান্ড জেরি’ ও ‘টুইসডেস অ্যান্ড ফ্রাইডেস’ এই মুহূর্তে দেখানো হবে। ডিজাইনার সুবীর কুমার বসুর পরামর্শেই পাঁচ বছর লেগেছে মেট্রো আইনক্সের কাজ শেষ করতে।
সিনেমা হলের ইতিহাসে অনেক কিছুর সাক্ষী ছিল মেট্রো সিনেমা। ১৯৩৪ সালে নিউ ইয়র্কের টমার ল্যাম্ব মেট্রোর নকশা তৈরি করেছিলেন। যা চালু হয় ১৯৩৫ সালে। প্রথম সিনেমা দেখানো হয় ‘ওয়ে আউট ওয়েস্ট’। বিনোদনের খাস জায়গা হয়ে উঠেছিল এই মেট্রো সিনেমা। তারপর তৈরি হয় লাইটহাউস। সময়ের পরিবর্তন হলেও মেট্রো সিনেমা হল ধরে রেখেছিল তার আলাদা অস্তিত্ব।
এরপর কলকাতা পৌরসংস্থার হেরিটেজ কমিশন এই হলটিকে মাল্টিপ্লেক্সে পরিণত করার প্রকল্প গ্রহণ করে। অবশেষে আর্থিক দিক থেকে মন্দা দেখা দেওয়ায় ২০১১ সালে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো সিনেমা হল। সিনেমা হলের প্রধান দিকটা বাদ দিয়ে বাকি দিকে তৈরি হয়ে যায় শপিং মল।
একে একে শহরের বুকে পুরনো হলগুলি ভেঙে নতুন বিল্ডিং না হলে মাল্টিপ্লেক্স তৈরি হওয়ায় মন ভেঙেছিল শহরবাসীরও। চোখের সামনে অতীতকে এই ভাবে নষ্ট হতে দেখে কম হতাশ হননি সিনেপ্রেমীরা। কিন্তু এত বছর পর মেট্রো প্রেক্ষাগৃহ নতুন করে খোলায় খুশি সকলেই। ৮৬ বছর আগের নস্ট্যালজিয়া আবার ফিরে এসেছে। প্রাণ পেয়েছে ধর্মতলার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা মেট্রো আইনক্স।