সবুজ দ্বীপের কাছে দেখা মিললো এক ঝাঁক শুশুকের, সঙ্গে ঘড়িয়ালও
ছোট আকারের এই কুমিরের নিকট আত্মীয়দেরও খোঁজ মিলছিল না। মৎস্যভুক এই প্রাণীগুলির বেশ কয়েকটিকে আবার দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রায় ১৫ বছর পর আবার এক ঝাঁক গাঙ্গেয় ডলফিন (dolphin) তথা শুশুকের সন্ধান মিলল হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে (Balagarh)। আরও ভালো করে বললে বলাগড়ের সবুজ দ্বীপকে কেন্দ্র করে ওই শুশুকদের অস্তিত্ব নজরে পড়েছে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও বাসিন্দাদের। গঙ্গার দূষণ, মাছের অভাব সহ একাধিক কারণে ভারতীয় ডলফিনরা প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। তবে গাঙ্গেয় ডলফিনই শুধু নয়, দেখা যাচ্ছে ঘড়িয়ালও। ছোট আকারের এই কুমিরের নিকট আত্মীয়দেরও খোঁজ মিলছিল না। মৎস্যভুক এই প্রাণীগুলির বেশ কয়েকটিকে আবার দেখা গিয়েছে বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগে থেকেই সবুজ দ্বীপকে কেন্দ্র করে একটি বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এরই মাঝে গঙ্গার খাড়ি এবং মূল গঙ্গায় ডলফিন ও ঘড়িয়ালের অস্তিত্ব স্থানীয় প্রশাসনকেও উৎসাহিত করে তুলেছে। চলতি সপ্তাহেই এনিয়ে আলোচনায় বসতে চাইছে বলাগড় ব্লক প্রশাসন। একদা এলাকায় ‘ঘড়িয়াল বাঁচাও’ আন্দোলন করছিলেন তরুণ সেন।
বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই নেতা শুশুকদের উপস্থিতি নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ১৫-২০ বছর আগে বলাগড়ের গঙ্গায় নিয়মিত এক ঝাঁক গাঙ্গেয় ডলফিনকে নেচে বেড়াতে দেখা যেত। সেসব দৃশ্য মাঝে অতীত হয়ে গিয়েছিল। বিচ্ছিন্নভাবে কখনও মাছের জালে ধরা পড়ত। ইদানীং অনেকগুলি শুশুক দেখা গিয়েছে বলে মৎস্যজীবীদের কাছে খবর পেয়েছি। দেখা যাচ্ছে ঘড়িয়ালও। এটা খুব ভালো খবর। স্থানীয় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পর্যটন প্রকল্পের পক্ষে এটা ভালো লক্ষণ। পরিবেশের জন্যও ভালো। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কিছু একটা পদক্ষেপ আমরা করব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বলাগড়ের সোমড়ার গঙ্গায় এক মৎস্যজীবীর জালে একটি বয়স্ক গাঙ্গেয় ডলফিন ধরা পড়ে। স্থানীয় এক প্রকৃতিপ্রেমী কোনও মতে সেটিকে উদ্ধার করে ফের গঙ্গাতে ছেড়ে দেন। তারপরেই উৎসাহীরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন বয়স্ক ও শিশু মিলিয়ে বেশ কয়েকটি ডলফিনকে সবুজ দ্বীপের আশপাশে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে।