Air India Ahmedabad plane crash: শেষ কয়েক সেকেন্ডে কী কী ঘটেছিল? রিপোর্ট প্রকাশ্যে
প্রকাশ্যে এল আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট। এই রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে অন্তর্ঘাত বা পাখির ধাক্কায় দুর্ঘটনার তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯:০০: প্রকাশ্যে এল আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্ট। এই রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে অন্তর্ঘাত বা পাখির ধাক্কায় দুর্ঘটনার তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। তারা শনিবার যে ১৫ পাতার তদন্ত-রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, শেষ মুহূর্তে কী ভাবে ইঞ্জিন চালুর মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন দুই পাইলট। সক্রিয় করেছিলেন বিকল্প এক যন্ত্রও। কিন্তু লাভ হয়নি। একটি ইঞ্জিন চালু হলেও দ্বিতীয় ইঞ্জিনটি আর চালানো যায়নি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে বিমানটি সামনের বহুতলে ধাক্কা খায় এবং ভেঙে পড়ে।
বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে পাইলটদের শেষ মুহূর্তের কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। সেই রেকর্ড অনুযায়ী, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে এক পাইলট আর এক পাইলটকে প্রশ্ন করেন, “জ্বালানি বন্ধ করে দিলে কেন?” জবাব অপর পাইলট উত্তর দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’’
এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে জ্বালানির সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ (বন্ধ)অবস্থায় চলে যায়। রিপোর্ট বলছে, বিমানটি যখন উপরে ওঠার জন্য গতি পাচ্ছে, তখনই দু’টি ইঞ্জিনের জ্বালানি ‘কাটঅফ’ মুডে চলে যায়। ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিমানের উচ্চতা কমতে থাকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অবশ্য পাইলটরা ফের বিমানের দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি ফের ‘কাটঅফ’ থেকে থেকে ‘রান’ মুডে নিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। একটি ইঞ্জিন চালু হলেও আর একটি ইঞ্জিন চালু করা যায়নি। ফলে ‘থ্রাস্ট’ পাওয়া যায়নি। এরপরই পাইলটরা মে ডে কল দেন।
এখন প্রশ্ন হল, বিমানের জ্বালানি কেন বন্ধ হল। কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি? নাকি সত্যিই কোনও এক পাইলট ভুলবশন জ্বালানি বন্ধ করেছিলেন? দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে পাখির ধাক্কার উল্লেখ নেই। বিমানসংস্থা বোয়িংকেও কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের তত্ত্ব এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং সংস্থার ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি অহমদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। যাত্রী এবং বিমানকর্মী-সহ তাতে ছিলেন মোট ২৪২ জন। বিমানটি নিকটবর্তী একটি ডাক্তারদের হস্টেল ভবনে ধাক্কা খায় এবং প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফারিত হয়।