সুশান্ত ঘোষের সাসপেনশন তোলার ভাবনা আলিমুদ্দিনের

সুশান্ত ঘোষের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিয়ে কীভাবে সংগঠনের কাজে তাঁকে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটাই এখন বড় মাথাব্যথার কারণ সিপিএমের।

September 7, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

মাত্র তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল দলের দাপুটে নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষকে। কিন্ত সপ্তাহ ঘোরার আগেই করেও পিছু হঠতে হচ্ছে আলিমুদ্দিনকে। সুশান্ত ঘোষের উপর থেকে সাসপেনশন তুলে নিয়ে কীভাবে সংগঠনের কাজে তাঁকে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটাই এখন বড় মাথাব্যথার কারণ সিপিএমের।

বামফ্রন্টের শাসনকালে গড়বেতার বেতাজ বাদশা ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে গ্রেফতার হন তিনি। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর রাজনীতি থেকে খানিকটা দূরে ছিলেন তিনি। শুরু করেন বই লেখা।

‘বামফ্রন্ট জমানার শেষ দশ বছর’ শীর্ষক একটি বই লিখে পার্টির অন্দরে বিতর্কে জড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে।তাঁর বিরুদ্ধে প্রথমে পোর্টালে কলম এবং পরে বই লিখে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিষোদগারের অভিযোগ ছিল। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির অভিযোগও উঠেছিল। দলীয় স্তরে কমিশন গড়া হয় অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য। জেলা নেতৃত্ব সুশান্তবাবুর বহিষ্কারই চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে তিন মাসের জন্য দলের সদস্যপদ থেকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়।

শুক্রবার কমিশনের রিপোর্ট রাজ্য কমিটির সভায় পেশ করা হয়। সেখানেই প্রাক্তন এই দাপুটে মন্ত্রীকে তিন মাসের জন্য বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের একাংশ এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে।

দলীয় সূত্রে খবর, নিচের তলায় তাঁর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কথা চিন্তা করে মত বদলানোর কথা ভাবছে পার্টির ভোট ম্যানেজাররা।

সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের অনেকেই বলছেন, দলের নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে এখনও সুশান্তবাবুর গ্রহণযোগ্যতা আছে। বিশেষত, পরিবর্তনের পরে নানা আক্রমণের মুখে অনেকে যখন দল বদলেছেন, জেল খেটে এবং মামলার চাপ সয়েও তিনি তা করেননি। জেলা নেতৃত্বের বিরাগভাজন হওয়ায় তাঁকে আরও কোণঠাসা করে দেওয়া উচিত হবে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen