বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের আটকে রাখার অভিযোগ

অধ্যাপিকাদের ছাড়ার দাবিতে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন বিশ্বভারতীর পদার্থবিদ্যা বিভাগের দুই অধ্যাপক পীযূষ ঘোষ ও অরণী চক্রবর্তী।

February 27, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ফের বিতর্ক দেখা দিল বিশ্বভারতীতে (Viswa Bharati)। এবার বিশ্বভারতীর ইংরেজি বিভাগের ১৫ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে সেন্ট্রাল অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল। তাঁদের প্রায় ছ’ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। সহকর্মীদের ছাড়ার দাবিতে দুই অধ্যাপক সেন্ট্রাল অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন। এমনকী এনিয়ে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ করা হয়। প্রায় ছ’ঘণ্টা পর ইংরেজি বিভাগের ওই অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সেন্ট্রাল অফিস থেকে বের হতে দেখা যায়। এনিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বৈঠকের নাম করে উপাচার্য ইংরেজি বিভাগের ওই অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের ডেকে পাঠান। এরপর তাঁদের আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অধ্যাপক বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে চিঠি লিখে সই সংগ্রহ করার অভিযোগ আনা হয় আমাদের নামে। সেই চিঠি দেখতে চান উপাচার্য। যতক্ষণ না সেই চিঠি দেখানো হবে, ততক্ষণ আটকে রাখা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। এরপর সহকর্মীদের ছাড়িয়ে আনতে তৎপর হন অন্যান্য অধ্যাপকরাও। এমনকী উপাচার্যের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়।

এদিন অধ্যাপক, অধ্যাপিকাদের ছাড়ার দাবিতে সেন্ট্রাল অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন বিশ্বভারতীর পদার্থবিদ্যা বিভাগের দুই অধ্যাপক পীযূষ ঘোষ ও অরণী চক্রবর্তী। সাংবাদিকদের তাঁরা জানান, সহকর্মীদের আটকে রাখার খবর পেয়ে অফিসে গেলে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই গেটের বাইরে বসে যান তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে পুলিসও আসে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ওই অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিস থেকে বের হতে দেখা যায়। যদিও তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি। এর জন্য সাময়িকভাবে বিশ্বভারতীর ইংরেজি বিভাগ বন্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে বিষয়টি জানাজানি হতেই সমগ্র বিশ্বভারতীজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

এ ব্যাপারে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শান্তিনিকেতন থানার এক অফিসার অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen