মোদী সরকার জনগণনা না করায়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত আমজনতা?

২০১১ সালের তথ্য-পরিসংখ্যান অনুযায়ী বারো বছর পরে, আর কোনও কর্মসূচি চালানো সম্ভব নয়। জনগণনা না হওয়ার জেরে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভেও সামগ্রিকভাবে করা যাচ্ছে না।

April 25, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
সর্বশেষ আদমশুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জনগণনা না হাওয়ায় ভুগছে আম জনতা, কেন্দ্রের প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশবাসী। প্রতি দশ বছর অন্তর দেশে জনগণনা হয়। সর্বশেষ আদমশুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে, তারপর কেটে গিয়েছে ১২ বছর। কিন্তু জন গণনা আর হয়নি, আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের নানান প্রকল্প রূপায়ণে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের যেকোনও প্রকল্প বা ভর্তুকি প্রদান কর্মসূচির প্রধান ভিত্তিই জনগণনা। করোনার কারণে ২০২০ সালে আদমশুমারি করা যায়নি। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, জনগণনা কবে হবে, তা নিয়ে মোদী সরকার মুখে কুলুপ দিয়েছে। সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বারবার জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই জনগণনা হবে। মোদী সরকার জানিয়ে দিয়েছে, দেশ করোনা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে মোদী সরকারের দাবি, ক্রমেই নাকি দেশে করোনা কাটিয়ে স্বাভাবিক অর্থনীতির পথে অগ্রসর হয়েছে দেশ। কিন্তু জণগণনা বিষয় কোনও উত্তর নেই।

বিরোধীরাও বারবার প্রশ্ন তুলছেন, জনগণনা কেন হচ্ছে না? মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে বিরোধীদের দাবি, সাধারণ জনগণনা এবং জাতিগণনা কেন হচ্ছে না তার জবাব দিক মোদী সরকার। জনগণনা না হওয়ায় কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের মধ্যে পরিসংখ্যান নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের অন্দরে খবর, গ্রামোন্নয়ন, স্বাস্থ্য, পঞ্চায়েতিরাজ, নগরোন্নয়ন এবং অর্থমন্ত্রকের নানাবিধ প্রকল্পগুলির রূপায়ণ এবং অর্থবরাদ্দ জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে করা হয়। কিন্তু জনগণনা না হাওয়ায়, সেগুলি সঠিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর বিষয়ে নিশ্চিত হাওয়া যাচ্ছে না। কারণ পরিসংখ্যানই নেই। ২০১১ সালের তথ্য-পরিসংখ্যান অনুযায়ী বারো বছর পরে, আর কোনও কর্মসূচি চালানো সম্ভব নয়। জনগণনা না হওয়ার জেরে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভেও সামগ্রিকভাবে করা যাচ্ছে না।

বেশ কয়েকবছর ধরে কাজ চালাতে, আধার কার্ডের মোট সংখ্যাকে ধরেই এগোচ্ছে সরকার। সেই তথ্য অনুযায়ী অর্থবরাদ্দ এবং উপভোক্তা তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আবার মোদী সরকারের দাবি, দেশজুড়ে লক্ষ লক্ষ ভুয়ো আধার কার্ড রয়েছে। ফলে কোন আধার কার্ড প্রকৃত নাগরিকের, আর কোনটা ভুয়ো, তা যাচাই না করেই প্রকল্পের কাজ চলছে। সেন্সাসের বালাই নেই, আর ভুয়ো আধার কার্ডের রমরমা; এই উভয় সঙ্কটে আম জনতা, যারা কেন্দ্রের প্রকল্পের আওতায় থাকা দরকার, তারা বাদ পড়ছেন। ২০২৪ সালে লোকসভা, ফলে আদমশুমারি হবে না। তত অবধি এভাবেই চলবে দেশ? থেকেই যাচ্ছে এই প্রশ্ন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen