আসানসোলে আইনজীবী খুনের হাড় হিম করা কাহিনী উঠে এল পুলিশ তদন্তে

পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকা আসানসোল আদালতের আইনজীবী একান্ন বছরে ব্রজেশ্বর দাসকে আসানসোল দক্ষিণ থানার গোধুলির ফ্ল্যাটে খুন করা হয়।

June 16, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
আসানসোলে আইনজীবী খুনের হাড় হিম করা কাহিনী উঠে এল পুলিশ তদন্তে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আইনজীবী ব্রজেশ্বর দাসকে খুনই করা হয়েছে। পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকা আসানসোল আদালতের আইনজীবী একান্ন বছরে ব্রজেশ্বর দাসকে আসানসোল দক্ষিণ থানার গোধুলির ফ্ল্যাটে খুন করা হয়। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, আইনজীবীর স্ত্রী শম্পা দাস ও শ্বশুর তারকনাথ দাস খুন ও দেহ লোপাটের ঘটনায় যুক্ত। জানা গিয়েছে, খুনের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় মৃতদেহ বস্তায় ভরে অণ্ডাল থানার খাসকাজোড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই খুন হাওয়া আইনজীবীর শ্বশুরবাড়ি। অভিযোগ উঠছে, ইসিএলের প্রাক্তন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তারকনাথ দাস নিজেদের বাগানে জামাইয়ের মৃতদেহ পুড়িয়ে হাড়, খুলি পাশে খালের জলে ফেলে দেন। এরপর শম্পা আসানসোল দক্ষিণ থানায় স্বামীর নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়ে ডায়েরি করেন।

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, যাবতীয় প্ল্যান ব্যর্থ হয়। ধরা পড়েন খুনি বাবা-মেয়ে। হাড়হিম করা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত আসানসোল। আইনজীবী খুনের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ব্রজেশ্বরবাবুকে শেষবার দেখা গিয়েছিল শনিবার। রবিবার বিকেলে তাঁর স্ত্রী শম্পা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। এতেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়। কারণ স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল না ব্রজেশ্বরবাবুর, তা মৃতের ঘনিষ্ঠরা জানতেন। নিখোঁজ হওয়া ও ফোন সুইচ অফের ঘটনায় সন্দেহ বাড়ে। ব্রজেশ্বরবাবুকে অপহরণ বা খুন করা হয়েছে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করে মঙ্গলবার তাঁর ভা‌ইপো আসানসোল থানায় ফের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নামতেই সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়।

জানা গিয়েছে, শনিবার শাসক দলের আইনজীবী সেলের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পর গোধুলির ফ্ল্যাটে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি শুরু হয়। আইনজীবীর শ্বশুরও জামাইয়ের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ায়। মারধরের জেরে মৃত্যু হয় ব্রজেশ্বরবাবুর। তারপরই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে বাবা ও মেয়ে। মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে ভাড়া গাড়িতে করে খাসকাজোড়ায় নিয়ে যান বাবা-মেয়ে। সেখানেই দেহ পোড়ানোর ব্যবস্থা করে তারকনাথ। বাড়ির পিছনের দিকের বাগানে একটি বড় গর্ত করে রবিবার ভোরে ভাঙা আসবাব ও কাঠের সঙ্গে দেহটি পুড়িয়ে ফেলা হয়। কেরোসিন ও পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেহ জ্বলে। পরে হাড়ও ফেলে দেওয়া হয় খালে। ওইদিন রাতেই শম্পা গোধুলির ফ্ল্যাটে ফিরে আসে এবং থানায় অভিযোগ করে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen