বিধ্বংসী সুপার টাইফুন বিপর্যস্ত ফিলিপিন্স, মৃত অন্তত ৭৫

বহু এলাকায় এখনও উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পারেনি। ফলে সেই সমস্ত এলাকায় আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়েছিল ঝড়ের তাণ্ডব। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার।

December 20, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আমেরিকার পর এবার ঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ফিলিপিন্স। শক্তিশালী টাইফুনের ধাক্কায় মৃত অন্তত ৭৫। নিখোঁজ বহু। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দ্বীপবাসীর কাছে জল-খাবার পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না।

টাইফুন রাই (Typhoon Rai) আছড়ে পড়ার আগেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে পালিয়েছেন বহু মানুষ। ঘর-বাড়ি, রিসর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছে তাঁদের। সরকির পরিসংখ্যান বলছে, টাইফুন রাই-এর প্রভাব এড়াতে ঘরছাড়া কমপক্ষে ৩ লক্ষ মানুষ। রবিবার সকাল পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বহু এলাকায় এখনও উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পারেনি। ফলে সেই সমস্ত এলাকায় আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়েছিল ঝড়ের তাণ্ডব। গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার।

দ্বীপরাষ্ট্রটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে খাবার, জল পৌঁছনো যাচ্ছে না। ধাক্কা খেয়েছে সে রাজ্যের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ পরিষেবা। ফিলিপিন্সে জনপ্রিয় পর্যটনস্থলের বহলের গর্ভনর আরথার ইয়াপ জানিয়েছেন, সেই শহরে ইতিমধ্যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। জখম অন্তত ১৩ জন। ১০ জনের কোনও খবর নেই। সে দেশের ৪৯ জন গর্ভনরের মধ্যে ২১ জনের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। সবমিলিয়ে টাইফুনের দাপটে কার্যত বিপর্যস্ত।

প্রসঙ্গত, বছর শেষে একের পর এক টর্নেডো হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি। নিরাপত্তার স্বার্থে কেনটাকিতে জরুরি অবস্থা (State of Emergency) জারি হয়েছিল। কেনটাকিতেই অন্তত ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। ঘর হারিয়েছেন আরও বহু মানুষ। একের পর এক বাড়িঘর ভেঙে পড়ায় পুরো রাজ্যটাই যেন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। শুধু কেনটাকিতেই নয়, গোটা দেশেই কমবেশি দাপট দেখিয়েছে টর্নেডো। বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব আমেরিকার ছ’টি রাজ্যে এর প্রভাব মারাত্মক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen