অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁর লেখায় উঠে এসেছে দেশভাগের যন্ত্রণা
আদতে এটি একটি টেট্রালজি, দেশভাগ-কে উপজীব্য করে জন্ম এই সিরিজের।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারত স্বাধীন হয়ে দগদগে ক্ষত দিয়ে গিয়েছে বাংলাকে, দ্বি-খণ্ডিত বাংলার বুকের রক্তে জন্ম এ দেশের। দেশভাগের জেরে সবচেয়ে বেশি পীড়নের মুখে পড়েছিল বাংলা ও পঞ্জাব। বাংলার লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালকরা বারবার দেশভাগের যন্ত্রণাকে তুলে ধরেছেন তাঁদের সৃষ্টিতে। অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলমে বারবার উঠে এসেছে দেশভাগের যন্ত্রণা, সবহারাদের কাতরতা।
রাজার বাড়ি, নীল তিমি, উড়ন্ত তরবারি, হীরের চেয়েও দামি-র মতো একাধিক সার্থক কিশোর উপন্যাসের জন্ম দিয়েছে তাঁর কলম। পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেছেন পার্টিশন পীড়িত বাংলার কথা।
দিন গুজরানের জন্য নানান কাজ করেছেন, কাজের সন্ধানে ঘুরেছেন। কখনও নাবিকরূপে, আবার প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। অমিতাভ চৌধুরীর আহ্বানে যোগ দিয়েছিলেন ‘যুগান্তর’ পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজে কিন্তু এসবের মধ্যেও লেখালেখি করে গিয়েছেন তিনি। ওয়েলসের বন্দর শহর নিয়ে লেখা ‘কার্ডিফের রাজপথ’ প্রকাশিত হয় বহরমপুরের অবসর পত্রিকায়, এটিই তাঁর প্রথম প্রকাশ। অজস্র উপন্যাস লিখেছেন, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাসটি হল ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’।
আদতে এটি একটি টেট্রালজি, দেশভাগ-কে উপজীব্য করে জন্ম এই সিরিজের। চার সিরিজের প্রথম পর্ব ‘নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে’, দ্বিতীয় পর্ব ‘মানুষের ঘরবাড়ি’, তৃতীয় পর্ব ‘অলৌকিক জলযান’ এবং চতুর্থ পর্ব ‘ঈশ্বরের বাগান’। দেশভাগ নিয়ে লেখা এই উপন্যাসগুলোতে ফুটে উঠেছিল ছিন্নমূল মানুষের জীবন, তাঁদের জীবন সংগ্রাম। বাংলা সাহিত্যের ক্লাসিক বলা চলে সিরিজটিকে। যা প্রকৃত অর্থেই সময়ের দলিল।