জোর ধাক্কা খেল বঙ্গ বিজেপি! শুভেন্দু ‘ঘনিষ্ঠ’ দলের রাজ্য সম্পাদক সদলে যোগ দিলেন তৃণমূলে
একইসঙ্গে একই মঞ্চে সিপিএমের লালঝান্ডা ছেড়ে জোড়াফুলের পতাকা নিলেন ১৭জন ডিওয়াইএফআই নেতা-সহ শতাধিক কর্মী।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:১৬: ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে জোর ধাক্কা খেল বঙ্গ বিজেপি! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাজ্যি বিজেপির সম্পাদক তথা জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সঙ্ঘমিত্রা চৌধুরি-সহ প্রায় তিনশো গেরুয়া কর্মী। একইসঙ্গে একই মঞ্চে সিপিএমের লালঝান্ডা ছেড়ে জোড়াফুলের পতাকা নিলেন ১৭জন ডিওয়াইএফআই নেতা-সহ শতাধিক কর্মী।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসে রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের তীব্র গোষ্ঠী-কোন্দল ও বাংলার উন্নয়নের বিরোধিতা করে নেতিবাচক ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন সঙ্ঘমিত্রা। পুরনো দল নিয়ে কিছু মন্তব্যম করব না বলেও বিজেপি নেতাদের গোষ্ঠীবাজির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বলেন, ‘‘গত ১২ বছরে চারজন সভাপতি বদল হওয়ায় ভুগছেন পুরনো পার্টিকর্মীরা। রাহুলদার লোকেদের দিলীপদা দায়িত্বে এসে কাজে নেননি। আবার দিলীপদার ঘনিষ্ঠদের সুকান্তবাবু নেননি। আর আমি শুভেন্দু অধিকারীর সাহায্য নিয়ে দল করতাম বলে পার্টির ‘সংগঠন-মন্ত্রী’ অমিতাভ চক্রবর্তী আমায় দক্ষিণ কলকাতার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলা থেকে সরিয়ে চরম অপদস্থ করে হাতে ‘ললিপপ’ ধরিয়ে হাওড়ার পর্যবেক্ষক করা হল। গেরুয়া শিবিরের পরিবেশ একদম ভালো লাগছিল না।’’
শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়ক দেবাশিস কুমারের হাত ধরে জোড়াফুলে আসা সঙ্ঘমিত্রা ও বামকর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। টানা ১২ বছর বিজেপির নানা পদ ও দায়িত্ব সামলানো সঙ্ঘমিত্রা তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে বলেন, ‘‘এতদিন ভাড়া বাড়ি ছিলাম, এবার নিজের বাড়ি এলাম।
হাজরা রোডে তৃণমূলের সভায় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শুক্রবার সঙ্ঘমিত্রাদের তৃণমূলে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘বাংলার অস্মিতা রক্ষায় বিজেপি ছেড়ে আরও বহু মানুষ তৃণমূলে আসছেন, সবার কাছেই গেরুয়া শিবিরের বাংলা ভাষার অসম্মান ও অপমান আজ তীব্র হয়ে উঠছে।’’