ভাঙছে রাস্তা, সড়কপথে পণ্যবাহী গাড়িগুলির অতিরক্তি বোঝা কমাতে তৎপর হল রাজ্য

ওভারলোডিংয়ে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। বার বার রাস্তা তৈরির বরাত দিতে গিয়ে ব্যয় হচ্ছে অর্থ।

January 17, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

সড়কপথে পণ্যবাহী গাড়িগুলির অতিরক্তি বোঝা কমাতে তৎপর হল রাজ্য। তার কারণ ভারী গাড়ির ওজন নিতে না পেরে প্রায়শই রাজ্যের সড়কপথ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নতুন ভাবে বানানো রাস্তা নষ্ট হচ্ছে দিন কয়েকের মধ্যেই। মেরামতি আর পুনর্নির্মাণে বাড়ছে সরকারি খরচও। সবদিকে নজর রেখে তাই পণ্যবাহী গাড়িগুলির ওভারলোডিং বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার ছিল পরিবহণ দপ্তরের বৈঠক। ওই বৈঠকেই রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওভারলোডিং নিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশ ঘোষণা করার পাশাপাশি জানিয়ে দেন প্রয়োজনে ওভারলোডিংয়ে জড়িত প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিতে দ্বিতীয়বার ভাববে না সরকার।

সোমবারের বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, ‘‘ওভারলোডিংয়ের জন্য রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে চান ওভারলোডিং বন্ধ করতে। আমি সচিবদের দায়িত্ব দিয়েছি। একই সঙ্গে বলে দিয়েছি যে যে জায়গায় ওভারলোডিং হচ্ছে সেখানে অফিসারদের কাছে কারণ জানতে চেয়ে ফোন করা হবে। যদি দেখা যায়, প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত কেউ এ ক্ষেত্রে মদত দিচ্ছেন তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার।’’ এর পাশাপাশি কোন কোন খাদান থেকে অতিরিক্ত পণ্য গাড়িতে বোঝাই করা হচ্ছে তারও খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘এই কাজ যাঁরা করছেন এবং প্রশাসনের তরফে যাঁরা তাঁদের সহায়তা করছে তাঁদের জরুরি ভিত্ততে প্রশাসনের নজরে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।’’ এ ব্যাপারে সরকার কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে তা বোঝাতে ফিরহাদ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ওভারলোডিং হতে দেবে না, দেবে না, দেবে না।

পরিবহণ দপ্তরের বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, রাস্তা ভাল রাখতে এই ব্যবস্থা। ওভারলোডিংয়ে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। বার বার রাস্তা তৈরির বরাত দিতে গিয়ে ব্যয় হচ্ছে অর্থ। তাই মুখ্যমন্ত্রীও এ বিষয়ে জোর দিয়েছেন। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়ার মতো জেলায় ওভারলোডিংয়ের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। কলকাতায় তুলনায় এই ধরনের ঘটনা কম ঘটে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen