রাজ্যে ৩ বছরে দ্বিগুণের বেশি পড়ুয়ার আয়ত্তে এল স্মার্টফোন
পাশাপাশি, স্মার্ট ফোনের ব্যবহারেও গত দু’বছরে দ্বিগুণের বেশি এগিয়েছে এরাজ্য। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এর পিছনে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ‘তরুণের স্বপ্ন’।

সরকারি বুনিয়াদি শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের অন্তর্ভুক্তিতে চলতি বছরেও শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৮ সালে ৮৮ শতাংশ ৬-১৪ বছরের ছেলেমেয়ে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে পড়ত। ২০২১ সালে তা ৩.৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৯১.৮ শতাংশ। সর্বভারতীয় স্তরে এই হার ৬৮ শতাংশ। অনেক পিছিয়ে রয়েছে অন্যান্য রাজ্যগুলি। পাশাপাশি, স্মার্ট ফোনের ব্যবহারেও গত দু’বছরে দ্বিগুণের বেশি এগিয়েছে এরাজ্য। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এর পিছনে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ‘তরুণের স্বপ্ন’।
অ্যানুয়াল স্টেটাস অব এডুকেশন রিপোর্ট বা অসর-২০২১ সমীক্ষায় এই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৮ সালে রাজ্যে ২৬ শতাংশের কিছু বেশি পাঁচ থেকে ১৬ বছর বয়সি ছেলেমেয়ে স্মার্টফোনের নাগাল পেত। ২০২১ সালে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫৮.৪ শতাংশে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বড় দাদা বা দিদিদের কেনা স্মার্টফোন বা ট্যাবের সুফল পাচ্ছে বাড়ির ছোটরাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গত ও চলতি বছর মিলিয়ে দু’বার দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দিয়েছে। দু’ভাগে প্রায় ২০ লক্ষ পড়ুয়া প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে পেয়েছে। সেই কারণে, বাড়ি পিছু স্মার্টফোনের মালিকানার হার দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। এর ফলে সার্বিকভাবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে অনলাইন পড়াশোনার।
দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী স্কুলের গণিতের শিক্ষক বলেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি। বরং, অনেক বেশি নির্ভর করতে হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো নোটস এবং অনুশীলনীর উপরে। সেই কারণে, দাদা বা দিদিদের অনলাইন ক্লাসের চাহিদা মিটিয়েও তা ভাইবোনদের কাজে লেগেছে। গ্রামাঞ্চলে তো এটা আরও বেশি করে সত্যি। সেখানে একটি ফোন ভাগাভাগি করে ব্যবহার করার প্রবণতা বেশি। আর মন্থর ইন্টারনেটের কারণে লাগাতার অনলাইন ক্লাস করাও সম্ভব হয় না। উচ্চগতির দামি ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনার সামর্থ্যও কম থাকে।