করোনা চিকিৎসায় রাজ্যে প্লাজমা থেরাপি

বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা করোনা আক্রান্ত দু’জনের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছেন চিকিৎসকরা।

June 13, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা আক্রান্ত সংকটজনক রোগীর দেহে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগে দেশকে পথ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা করোনা আক্রান্ত দু’জনের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। এখন ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছেন চিকিৎসকরা।

উল্লেখ্য, দেশে ও রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ানক রূপ নিচ্ছে। দেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫৩৫। মৃতের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৯৮। আক্রান্তের সংখ্য়া নিরিখে ভারতে সারা বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে, আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৯ হাজার ৭৬৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্য়া ৪৪২।

এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় দেশকে পথ দেখাচ্ছে বাংলা। বৃহস্পতিবার কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক সংকটকজনক রোগীর দেহে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। শুক্রবার আরও একজনের শরীরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। দুজনই ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার আশিস মান্না জানান, প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ সফল হলে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এক নতুন অধ্য়ায়ের সূচনা হবে। সকলেই ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছেন।

এর আগে দেশে কম সংকটজনক রোগীদের শরীরে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হলেও বাংলাতেই প্রথম ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীর ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ যদি সফল হয় অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত সংকটজনক ওই দুজন যদি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন, তবে তা করোনা চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই হিসেবে বলতে গেলে এক ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলা।

কী এই প্লাজমা থেরাপি? ধরুণ, কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাঁর রক্ত থেকে রক্তরস বা প্লাজমা বের করে তা অন্য কোনও করোনা আক্রান্তের শরীরে প্রয়োগ করার নামই প্লাজমা থেরাপি। এতে করোনা আক্রান্তের শরীরে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।

উল্লেখ্য, হাবরার তরুণী মনামী বিশ্বাস পূর্ব ভারতের প্রথম প্লাজমাদাতা। তিনি এ রাজ্যের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত। স্কটল্যান্ডে থেকে দেশে ফিরে তিনি করোনা আক্রান্ত হন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি সেরে উঠেন। মনামীই প্রথম করোনামুক্ত হয়েছিলেন এরাজ্যে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্লাজমা দান করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মনামী। এরপর কলকাতা মেডিকেল কলেজে মনামীর রক্তরস অর্থাৎ প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen