বিদেশি পর্যটকদের পছন্দ বাংলা, পর্যটনশিল্পে উন্নতির নেপথ্যে রাজ্যের ধারাবাহিক পদক্ষেপ
দুর্গাপুজো, ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির সম্মাননা পাওয়ার পর পুজোর সময় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:১৬: ভিনদেশী পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য এখন বাংলা। ২০২৩-২৪ সালে ৩২ লক্ষ বিদেশী পর্যটক এসেছেন বাংলায়, ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রকের ‘পর্যটন পরিসংখ্যান রিপোর্ট’ অনুযায়ী যা দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ভারতে আসা বিদেশি পর্যটকদের ১৪.৮ শতাংশ এসেছেন বাংলায়। ২০২২-২৩ সালে সংখ্যাটা ছিল ২৭ লক্ষ। বিদেশি পর্যটকদের কাছে টানার ক্ষেত্রে নজির গড়েছে বাংলা। চলতি বছরেও জারি রয়েছে এই প্রবণতা।
বিধানসভায় রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী বলেন, বাংলায় বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাঁদের বেশিরভাগ ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বাংলাদেশের পর্যটক সংখ্যা। মন্ত্রী বলেন, গত ৬ মাসে রাজ্যে মোট ২৭ লক্ষ ১১ হাজার ৭০৮ জন পর্যটক এসেছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮০ হাজার। মন্ত্রীর দাবি, রাজ্যে বাংলাদেশি পর্যটকের আগমন কমেছে, অন্যদিকে বাড়ছে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা।
পর্যটন শিল্পের এহেন উন্নতির নেপথ্যে রয়েছে রাজ্যের একাধিক উদ্যোগ। দুর্গাপুজো, ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির সম্মাননা পাওয়ার পর পুজোর সময় বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। দীঘা জগন্নাথধামেও অন্য দেশের পর্যটকেরা আসছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যের পর্যটনে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীঘা, মন্দারমনি, সুন্দরবন, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ছাড়াও জেলা ভিত্তিক পর্যটনেও জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের উদ্যোগে জেলায় জেলায় হোম স্টে গড়ে উঠেছে। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে রাজ্যজুড়ে গড়ে উঠতে চলেছে আরও ৩২ টি নতুন বিলাসবহুল হোটেল। এই উদ্যোগে রাজ্যে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। ধারাবাহিক উদ্যোগের ফলেই রাজ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।