ওড়িশায় জ্বলছে বাঙালি গ্রাম, বন্ধ ইন্টারনেট, একের পর এক বাড়ি পুড়েছে! পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

December 9, 2025 | < 1 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৪৫: লাগাতার ওড়িশা থেকে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে বিগত কয়েক মায়ে। এবার পুড়িয়ে দেওয়া হল ওড়িশার বাঙালি গ্রামে। একের পর এক বাঙালির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ডবল ইঞ্জিন ওড়িশায়। প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন বাঙালিরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালকানগিরির এমভি-২৬ গ্রামে। রবিবার আদিবাসীরা বাঙালি গ্রামে চড়াও হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোনও পদক্ষেপ করেনি পুলিশ, এমনই অভিযোগ আক্রান্তদের।

স্থানীয় এক আদিবাসী মহিলার মৃত্যু ঘিরে শুরু হয় সংঘাত। ওই আদিবাসী মহিলার খুনে কয়েকজন বাঙালির যোগ রয়েছে, এমন সন্দেহে রবিবার দুপুরে গোটা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় ওড়িশার একটি আদিবাসী গোষ্ঠী। জানা যাচ্ছে, প্রায় দু’হাজার আদিবাসী বাঙালি গ্রামে হামলা চালায়। প্রায় ৬০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মালকানগিরিতে পুলিশ ও BSF মোতায়েন করা হয়। কিন্তু সোমবার পুলিশের সামনে বাঙালি গ্রামে ঢুকে আবারও বাড়িতে বাড়িতে আগুন লাগায় আদিবাসীরা। অভিযোগ, পুলিশ কার্যত নিশ্চুপ। নীরব দর্শকদের ভূমিকা পালন করেছে।

উলেখ্য, পোতেরু নদী থেকে ২ ডিসেম্বর রাখেলগুড়া গ্রামের কোয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলা পদিয়ামির মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। নদীর পাশে জনৈক সুকুমার মণ্ডল নামে এক বাঙালি কৃষকের জমি আছে। আদিবাসীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে সুকুমার ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে পদিয়ামির বিরোধ চলছিল। জমি বিবাদের জেরেই নাকি পদিয়ামিকে খুন হতে হয়েছে। অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সুকুমার। অভিযোগ, ওড়িশায় বিজেডি হেরে যাওয়ার পর বিজেপি সরকার আসার পর থেকে বাঙালিদের উপর এই আদিবাসী গোষ্ঠীর নির্যাতন বেড়ে গিয়েছে। বাড়ি-গাড়িতে আগুন লাগানো, ঘরে ঢুকে তছনছ, লুঠ চলছেই। বিতাড়িত বাঙালিরা এখন বাংলায় আত্মীয়দের বাড়ি আশ্রয় নেওয়ার কথাও ভাবছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen