দুর্নীতির দায়ে ৩দিনের মধ্যেই পদত্যাগ নীতীশের মন্ত্রীর

বিতর্কের মুখে নীতীশ কুমারই তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

November 19, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

শপথ গ্রহণের মাত্র তিনদিনের মধ্যে পদত্যাগ করলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরী (Mewa Lal Choudhary) । শপথ নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে তুলোধোনা করেছিলেন বিরোধীরা। বিতর্কের মুখে নীতীশ কুমারই তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভার সদস্য মেওয়ালালের বিরুদ্ধে। তারপরেও তিনি কীভাবে শিক্ষামন্ত্রীর পদ পান, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে? প্রশ্ন উঠেছে নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) মন্ত্রী বাছাই নিয়েও।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। যা দেখে বিরোধীর প্রশ্ন, দুর্নীতির অভিযোগের কথা কারোর অজানা নয়, তাহলে কীভাবে তাঁকে মন্ত্রীত্ব দিলেন নীতীশ কুমার? আর মন্ত্রীত্ব দেওয়ার পর তা কেড়ে নেওয়ারই বা কী অর্থ? বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পিছনে বিজেপির চাপ রয়েছে বলেও দাবি করছেন কেউ কেউ। তাঁদের কথায়, দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতেই নীতীশ কুমারের উপর চাপ দিয়েছেন তাঁরা।  তার জেরেই তড়িঘড়ি এই পদত্যাগ।

শপথগ্রহণের পর থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি। বিহারের (Bihar) নতুন মন্ত্রিসভায় তিনিই সবচেয়ে ধনী। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি মামলা রয়েছে। এমনকী, দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কৃতও করা হয়। কিন্তু পরে আবার দলে ফিরে আসেন তিনি। আর এবার শিক্ষামন্ত্রীর পদও পেয়ে গেলেন। একবার বহিষ্কৃত হয়েও তিনি কীভাবে মন্ত্রিত্ব পেলেন? সে প্রশ্ন তুলে আরজেডির অভিযোগ, এই ঘটনা নীতীশ কুমারের দ্বিচারিতার সপক্ষে স্পষ্ট প্রমাণ দেয়। শুধু দুর্নীতি নয়, শিক্ষামন্ত্রীর পদ পাওয়া মেওয়ালালের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen