দু’দিন বাকি থাকলেও অর্ধেকের বেশি ওয়ার্ডে নেই প্রচার, দিশেহারা বিজেপির পুরপ্রার্থীরা
বিজেপির নেতারা এখনও শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের অর্ধেক ওয়ার্ডেও প্রচার করতে পারেননি। যেখানে তাঁরা বিধানসভার একমাত্র বিরোধী দল। তাই প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচনে এঁটে উঠতে পারবে না বুঝে ওয়াকওভার দিল বিজেপি?

কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি সব ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসকে কী ওয়াকওভার দিচ্ছে? শহরের বিভিন্ন প্রান্তের চায়ের ঠেকে এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ আগামী ১৭ ডিসেম্বর এই নির্বাচনের প্রচারের শেষদিন। সুতরাং আর দু’দিন বাকি। অথচ বিজেপির নেতারা এখনও শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের অর্ধেক ওয়ার্ডেও প্রচার করতে পারেননি। যেখানে তাঁরা বিধানসভার একমাত্র বিরোধী দল। তাই প্রশ্ন উঠছে, নির্বাচনে এঁটে উঠতে পারবে না বুঝে ওয়াকওভার দিল বিজেপি?
২০১৪ সাল থেকেই বিজেপি সব রাজ্যেই সক্রিয় হয়েছিল। ২০১৫ সালের পুরসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছিল। যেখানে তখন তাদের একজন বিধায়ক এবং দু’জন সাংসদ ছিল। সেখানে এখন ১৮ জন সাংসদ। তার মধ্যে বাংলা থেকে চারজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। বিধানসভায় আসন সংখ্যা ৭০। প্রধান বিরোধী দল। সেখানে এবার কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি দফতরে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের ভিড় চোখে পড়েনি। কোনও বিক্ষোভ দেখা যায়নি।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার অর্ধেক ওয়ার্ডেও প্রচার করতে পারেননি। বিজেপি প্রচারকদের যে তালিকা তৈরি করেছিল সেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, গিরিরাজ সিং এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রামকৃপাল যাদব, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুরের এই নির্বাচনের প্রচারে থাকার কথা ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁদের দেখা মেলেনি। এই নিয়ে কেউ মন্তব্য করতে চাইছেন না।
এই হাল কেন? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপির আদি নেতা বলেন, ‘কলকাতায় দলের সংগঠন খুব দুর্বল। তার উপরে একুশের নির্বাচনে এবং সাতটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দল পর্যুদস্ত হয়েছে। তাতে কর্মীদের তলানিতে পৌঁছেছে। তাই এমন গা–ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে।’ যদিও রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে ফ্লেক্স, ব্যানার, হোর্ডিং দিয়ে দেওয়াল থেকে আকাশ পর্যন্ত দখল করে রেখেছে তাতে অন্য দলের উপস্থিতি কম চোখে পড়ছে। আমাদের প্রার্থীরা এবং নেতারা একেবারে ভোটারের দরজায় দরজায় প্রচার করছেন।’