যোগীরাজ্যে বিপন্ন ধর্মীয় সম্প্রীতি, কলমা পড়ার অপরাধে গঙ্গাজলে স্কুল শোধন বিজেপির

পুরো স্কুল তারা গঙ্গাজল দিয়ে শোধন করেছেন। পড়ুয়াদের কলমা পড়তে বলা, একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না বলেই জানাচ্ছেন দুই বিজেপি নেতা।

August 2, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ফের বিপন্ন ধর্মীয় সম্প্রীতি। ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ, আর সেই দেশেই সংকটে সর্বধর্ম সমন্বয়ের পাঠ। সব ধর্মের সার কথা এক, সেই ধর্ম সমন্বয়ের পাঠ দিতেই পড়ুয়াদের নানান ধর্মের প্রার্থনা শেখানো হয়েছিল। স্কুলে পঠনপাঠন শুরু আগে ছাত্রছাত্রীরা কলমা পড়েছিল। কলমা পড়ার অপরাধে স্থানীয় বিজেপি নেতারা গঙ্গাজল শোধন করলেন গোটা স্কুল। ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা গোটা স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু। এনিয়ে কানপুরের জেলাশাসকের কাছে অভিযোগও করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সোমবার ১ আগস্ট বিজেপি নেতা মহেন্দ্র শুক্লা এবং ধীরাজ সাহু ওই স্কুলে গিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি জানান। পুরো স্কুল তারা গঙ্গাজল দিয়ে শোধন করেছেন। পড়ুয়াদের কলমা পড়তে বলা, একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না বলেই জানাচ্ছেন দুই বিজেপি নেতা।

প্রসঙ্গত, কানপুরের ফ্লোরেটস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়ুয়াদের গায়ত্রী মন্ত্র, কলমা, খ্রিস্ট ও শিখ ধর্মের প্রার্থনা শেখানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বিগত ১২-১৩ বছর যাবৎ তারা এই পরম্পরা, এই ঐতিহ্য মেনে চলছেন। কেউ কোনদিন এই নিয়ে সওয়াল করেনি। চারদিন আগেই এক অভিভাবক অভিযোগ জানান। তারপরই এই প্রার্থনার প্রথা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৩০ জুলাই থেকে প্রার্থনা হিসেবে স্কুল শুরু আগে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার নিয়ম কার্যকর করা হয়।

কিন্তু বিজেপির এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিজেপির মহিলা মোর্চার দাবি, স্কুলের প্রিন্সিপালকে ক্ষমা চাইতে হবে। ইতিমধ্যেই কানপুরের এসিপি নিশান্ত শর্মা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen