ছাব্বিশের ভোটের আগে ফের ‘বঙ্গভঙ্গ’ ইস্যুতে শান দিতে শুরু করল বিজেপি?
উত্তরবঙ্গে এই মুহূর্তে বিজেপি কিছুটা চাপে আছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে ফের বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে শান দিতে শুরু করেছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে এই মুহূর্তে বিজেপি কিছুটা চাপে আছে। ২০২১-এর মতো পরিস্থিতি এখন আর নেই। তাদের উপর মানুষের আস্থা অনেকটাই কমেছে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে কয়েকটি উপনির্বাচনেও তাদের ভরাডুবি হয়েছে। দলের গোষ্ঠীকোন্দল সামলাতে নাজেহাল শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় ফের ‘বঙ্গভঙ্গে’র দাবি তুলল তারা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এই দাবি জানান বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে সরব হলেন তিনি।
বাজেট ভাষণে অংশ নিয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষ দিনের পর দিন বঞ্চিত। খাবার জলটুকু পর্যন্ত ওরা পান না। বছরের পর বছর উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত।” এরপরই ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিধায়ক শিখাদেবী বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের দাবি হয়, উন্নয়ন করুন না হলে আমাদের আলাদা থাকতে দিন। এভাবে বছরের পর বছর ধরে বঞ্চনা চলতে পারে না।”
বিধানসভায় তাঁর বক্তব্য পেশ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এটা আমার একার কথা না। উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা। তাঁরা চান উত্তরবঙ্গ আলাদা হোক। কারণ মানুষ দিনের পর দিন বঞ্চিত। উত্তরবঙ্গের মানুষের বিধায়ক হিসেবে আমিও তাঁদের এই দাবি বিধানসভায় তুলে ধরলাম।”
যদিও বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ খারিজ করে বিধানসভার পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি বুঝে গেছে ২৬ সালে উত্তরবঙ্গেও ওরা জেতা আসনগুলো হারাবে। তাই ধর্মের জিগির তুলে ওরা নতুন করে বাংলা ভাগের আওয়াজ তুলছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষ ওদের এই যড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেবেন।” শোভনদেব এও বলেন, “উত্তরবঙ্গের কেউ বাংলা ভাগের কথা বলছে না, একথা বলছে বিজেপির লোকজন।”