চাপে পড়ে শিখ সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন সুকান্ত মজুমদার
শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পাগড়ি অত্যন্ত পবিত্র। সেই পাগড়িতে হাওয়াই চপ্পলের কাটআউট ছুঁড়ে মারার পর প্রবল বিতর্ক শুরু হয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৮:০৮: শিখ সম্প্রদায়ের এক পুলিশ কর্মীর মাথায় হাওয়াই চটির কাটআউট ছুড়ে বিপাকে সুকান্ত মজুমদার। বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আইনি প্যাঁচেও পড়েছেন। চাপের মুখে নতি স্বীকার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। ঘরে ও বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে ক্ষমা চাইলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পুলিশের উদ্দেশ্যে ছোঁড়া একটি প্ল্যাকার্ড দুর্ঘটনাবশত আমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক শিখ ধর্মাবলম্বী সিআইএসএফ কর্মীর পবিত্র পাগড়ির উপর পড়ে। এই অনিচ্ছাকৃত ঘটনায় যদি কোনও শিখ ভাই বা বোনের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, তাঁদের কাছে আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পাগড়ি অত্যন্ত পবিত্র। সেই পাগড়িতে হাওয়াই চপ্পলের কাটআউট ছুঁড়ে মারার পর প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। সুকান্তের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে শিখ সংগঠন। ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেয় তাঁরা। রাজনৈতিক বিতর্ক তো ছিলই। এছাড়াও বিভিন্ন মহলের চাপে পড়ছিলেন সুকান্ত। সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতৃত্বও বিষয়টিকে ভালো ভাবে নেয়নি। গতকাল সোমবার রাতে এই নিয়ে দিল্লির নেতাদের সঙ্গে কথা হয় সুকান্তর। সেই সময় তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় নেতৃত্ব। তারপরই ঘর ও বাইরের প্রবল চাপে নতি স্বীকার করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।