বাঙালি অস্মিতার গুঁতো? ফের EZCC-তে দুর্গাপুজোর আয়োজনে BJP
প্রশ্ন যখন বাংলা (Bengal) বাঙালির অস্তিত্ব নিয়ে তখন সেই আবহে আবারও দুর্গাপুজো (Durga Pujo) শুরু করছে বিজেপি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:৩৪: প্রশ্ন যখন বাংলা (Bengal) বাঙালির অস্তিত্ব নিয়ে তখন সেই আবহে আবারও দুর্গাপুজো (Durga Pujo) শুরু করছে বিজেপি। দুই বছরের বিরতির পর এ বছর ইজ়েডসিসি-তে আবার দলীয় উদ্যোগে খুঁটিপুজোর ঘোষণা হয়েছে। আজ (রবিবার) রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের (Shamik Bhattacharya) উপস্থিতিতে পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। তবে এবার পুজোর দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক সেল, প্রধান রুদ্রনীল ঘোষ (Rudrani Ghosh)।
২০২০ সালে, বিজেপির এই ইজেডসিসি (EZCC) পুজোর সূত্রপাত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) ও সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta) হাত ধরে। তৎকালীন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargiya) ছাড়পত্রে শুরু হলেও, তখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কেন্দ্রীয় নেতারা নাকি জানতে চেয়েছিলেন বাংলায় মোট কটা পুজোর উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা। সেই বছর ঠিক হয়েছিল বিজেপি নেতারা দিল্লি থেকে এসে পুজো উদ্ধোধন করবেন কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল হয়। প্রথম বছর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তবে ২০২১ বিধানসভা ভোটে (Bengal assembly election) প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় পুজো আয়োজনের উদ্যোগে জল পড়ে যায় কার্যত। পরপর ৩ বছর পুজো করতেই হবে তাই ২০২১ ও ২০২২ সালে পুজো সীমিত পরিসরে হয়, এরপর দু’বছর বন্ধ থাকে।
পুজো শুরু করা নিয়ে রুদ্রনীল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, সরাসরি দলের নামে নয়, পশ্চিমবঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে পুজো হবে। মূল উদ্দেশ্য, কর্মী-সমর্থকদের মিলনমেলা, আড্ডা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—যেখানে কবিতা, গান, নাটক থাকবে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রবীণদের আগ্রহেই ফের ইজেডসিসিতে আয়োজন করা হচ্ছে।
গত কয়েকবছরে ‘ হিন্দুত্ব’ প্রচারে জোর দিয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দুর্গাপুরের সভায় ‘জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা’ স্লোগান থেকে শুরু করে, শমীককে সভাপতি ঘোষণার দিনে কালীঘাটের বিগ্রহের ছবি—সবই সেই কৌশলের অংশ। আর এই মুহূর্তে যখন বাংলা বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু সেই মুহূর্তে আবার এই পুজো শুরু করে সাংগঠনিক বার্তা ছড়াতে চাইছে বিজেপি।