বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে নির্বাচনী তহবিল তছরুপের অভিযোগ

এই ঘটনায় বীরভূমে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।

July 30, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই বীরভূমে বিজেপির নিচুতলার নেতা-কর্মী-সমর্থকরা দলে দলে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। এরই মধ্যে বুধবার রাতে বিজেপির জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য সোমনাথ ঘোষের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই পোস্টে বীরভূমে বিজেপির শোচনীয় হালের জন্য দলের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে নির্বাচনী তহবিল তছরুপের মতো গুরুতর অভিযোগ। সেই পোস্টের প্রেক্ষিতে অনেক কমেন্টেও জেলা সভাপতিকে তুলোধনা করা হয়েছে। এই ঘটনায় বীরভূমে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। 


কিছুদিন আগেই বিধানসভা ভোটের হারের কারণ নিয়ে ওবিসি মোর্চার জেলা সভাপতি অমৃত ঘোষ ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, মণ্ডলগুলিতে লবি তৈরি করে জেলা নেতারা মুনাফা করতে মত্ত হয়েছেন। এবার আর এক নেতা সোমনাথ ঘোষ দলের জেলা কার্যকর্তাদের উদ্দেশে লিখেছেন, ধ্রুব সাহার নেতৃত্বে বীরভূমে বিজেপির শোচনীয় অবস্থা। দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী তহবিলের অর্থ তছরুপ করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ কর্মীরা বিজেপি ছাড়ছেন। এখন বিকল্প পদক্ষেপ হিসেবে কী করা উচিত, তাও জানতে চেয়েছেন তিনি। ওই পোস্টের কমেন্টে তপন নস্কর লিখছেন, এই জেলাকে দুধকুমার মণ্ডল ও কালোসোনা মণ্ডলের হাতে দেওয়া উচিত। আবার শ্যামরাই দাস লিখছেন, শুধু বিদ্যার্থী পরিষদের নয়, চিটফান্ড কেসে জেল খাটা আসামি না কি জেলা সভাপতি। বিধানসভা ভোটের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ধ্রুব সাহাকে জেল ভরো আন্দোলন শুরু করতে হবে। করলী ঘোষ কমেন্ট করেন, এসব কথা ফেসবুকে কেন? দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে একদল নেতা এসব বাজে বকা শুরু করেছেন। পাল্টা করলীবাবুকে আক্রমণ করেছেন কেউ কেউ। আবার অনেকে কমেন্ট করেছেন, বীরভূমে বিজেপির পরিস্থিতি খুবই খারাপ। জেলাজুড়ে গ্রুপবাজি চলছে। যোগ্য নেতার অভাব। এভাবেই অসংখ্য কমেন্ট  ও শেয়ার হয়েছে এই পোস্ট ঘিরে।


এ প্রসঙ্গে সোমনাথবাবু বলেন, আমি জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে দল ছাড়ছেন। জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব ড্যামেজ কন্ট্রোলে কোনও পদক্ষেপ করছে না। জেলায় বিজেপির সংগঠন তাসের ঘরের মতো ভাঙছে। এটা দেখে মর্মাহত, শোকার্ত। তাই ফেসবুকে ওই পোস্ট করেছি। 

বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, আমার সম্পর্কে যখন পজিটিভ পোস্ট হয়  কই তখন তো আপনারা খবর করেন না? ও নিজেকে জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য দাবি করলেই তো হবে না, তাহলে আমিও নিজেকে দলের রাজ্য সভাপতি বলতে পারি। আসলে তৃণমূলের কাছ থেকে টাকা খেয়ে কেউ যদি এসব লেখে, তার দায় কী আমার? 
সোমনাথবাবু যে জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য তা স্বীকার করেছেন দলেরই জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, উনি জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য। তাঁর ওই পদের গরিমা, মর্যাদা রক্ষা করা উচিত। সোশ্যাল সাইটে মন্তব্য না করে দলের বিভিন্ন স্তরে সমস্যা সমাধানে ওঁর কথা বলা উচিত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen