১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে নতুন শর্ত চাপিয়েছে কেন্দ্র, কাগজ ছিঁড়ে প্রতিবাদ মমতার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:১৮: ১০০ দিনের কাজের অর্থ আটকে রাখার ইস্যুতে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের জনসভা থেকে এই সংক্রান্ত কাগজ ছিঁড়ে ফেললেন তিনি। সোমবার দু’দিনের জন্য কোচবিহার সফরে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সেখানে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই কেন্দ্রের সরকারকে একের পর এক ইস্যু তুলে আক্রমণ শানিয়েছেন।
তবে প্রতিবাদের সুর সবচেয়ে চড়ালেন কেন্দ্রের নয়া শ্রম আইনের বিরুদ্ধে। মমতার কথায়, ”তিন, চারদিন আগে আমাদের একটা নোটিস পাঠিয়েছে। কেন্দ্রের নতুন লেবার কোড নিয়ে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে নতুন শর্ত চাপিয়েছে। আমরা এসব শর্ত মানি না, মানব না। এটা অসম্মানের। এই আমি কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিলাম। এটা কেন্দ্রের কোনও নোটিস নয়, এটা আমার কাছে থাকা কাগজ।”
অভিযোগ করে বলেন, “দেশে আমরা সেরা ছিলাম বলেই ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আবাস যোজনা— সব বন্ধ করে দিয়েছে। শুধুমাত্র ১০০ দিনের কাজেই ৫১ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা পাইনি। ভোটের মুখে আবার কিছু টাকা দিয়ে বলবে— এই তো দিলাম! পরে বলবে— কাজ হয়নি, তাই টাকা ফেরত নিলাম।”
সভার মাঝেই কেন্দ্রের পাঠানো একটি চিঠি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের পরও ওরা টাকা আটকে রেখেছে। আবার প্রায় এক বছর পর পাঠানো চিঠিতে অসম্ভব সব শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, “বলছে. ৬ ডিসেম্বর থেকে কোয়ার্টারলি লেবার বাজেট দেখাতে হবে— সময় কোথায়? ডিসেম্বর চলে গেল, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। একটি গ্রামসভায় নাকি ১০ জন কাজ পাবে! এক পরিবারেই তো ১০ জন থাকে! আবার বলছে ট্রেনিং দিতে হবে। কবে দেব? কবে কাজ করাবে?” এরপরই কাগজটি উঁচিয়ে ধরে বলেন, “এই অর্ডারের কোনও ভ্যালু নেই। এটা ভ্যালুলেস। বাংলার মানুষ ভিক্ষে চায় না। তোমাদের অর্ডারকে ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছি।”