রাজ্যের জন্যে প্রথম দফায় ১১ লক্ষ ভ্যাকসিন বরাদ্দ করল কেন্দ্র
মূলত রাজ্যের সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরাই এটি পাবেন।

প্রথম দফায় রাজ্যের জন্য দু’টি ডোজ মিলিয়ে ১০ লক্ষ ৮০ হাজার ভ্যাকসিন (Vaccine) বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত রাজ্যের সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরাই এটি পাবেন। তারপর ধাপে ধাপে পরবর্তী পর্যায়ের কোভিড-যোদ্ধা ও নাগরিকদের জন্য তা দেওয়া হবে। ৪৭টি ভ্যাকসিন ভ্যানের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টিকার ভায়ালগুলি পাঠাবে স্বাস্থ্যদপ্তর। আসছে আরও তিনটি ভ্যান। সেগুলিতে জিপিএস ব্যবস্থা যুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে শনিবার স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর।
দপ্তরের এক পদস্থ কর্তা জানান, রাজ্যের ৯৪১টি কেন্দ্রে এখন ৯-১০ কোটি ডোজ রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোর্সেই রাখা যাবে দেড় কোটি ভ্যাকসিন। এখনই ৪০ লক্ষ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও জায়গা করা হবে। অন্যান্য ভ্যাকসিনের সঙ্গে যাতে মিলে না যায়, সেজন্য করোনা টিকা আলাদা ফ্রিজারে রাখা হবে।
কোল্ড চেইনের (Cold Chain) নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে, ড্রাই আইস সঙ্গে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে আসবে টিকা। সেখান থেকে ভ্যাকসিন ভ্যানের মাধ্যমে যাবতীয় টিকা চলে যাবে বাগবাজারের স্টোর্সে। দু’ধরনের বড় ভ্যান রয়েছে রাজ্যের হাতে। একটি ভ্যান সম্পূর্ণ বায়ুনিরোধক ‘ইনসুলেটেড’। সেখানে কোল্ড বক্স থাকছে। অন্যটিতে থাকছে ফ্রিজার।
এক-একটিতে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ করে টিকা বহন করা সম্ভব। বাগবাজার স্টোর্সে ‘আইস লাইন রেফ্রিজারেটর’ বা আইএমআর ফ্রিজে রাখা হবে সেগুলি। পরদিন থেকে ছোট ছোট ভ্যাকসিন ভ্যানের মাধ্যমে এক থেকে দেড় লক্ষ করে টিকা বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ভ্যাকসিন স্টোর্সে নিয়ে যাওয়া হবে। বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসকদের তালিকা অনুযায়ী রাজ্য দুটো করে ডোজ ও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ধরে টিকা পাঠাবে।
কিন্তু রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা অনুযায়ী ১২ লক্ষ ডোজ পাওয়ার কথা। কেন্দ্র ১ লক্ষ ২০ হাজার ডোজ কম দিচ্ছে কেন? দপ্তর সূত্রে খবর, কো-উইন সাইটে কিছুদিন আগে পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর তথ্য আপলোড করা হয়েছিল। তা দেখেই কেন্দ্র দ্বিগুণ ডোজ অর্থাৎ ১০ লক্ষ ৮০ হাজার ডোজ টিকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি ডোজ পেতে অসুবিধা হবে না।এই মুহূর্তে