খুলছে বহু দোকান, লকডাউনে আরও ছাড় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
রমজান মাসের শুরু থেকেই লকডাউনে বড়সড় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এখন থেকে শর্তসাপেক্ষে জরুরি পরিষেবা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি ছাড়াও খোলা যাবে দোকানপাঠ। শুক্রবার রাতে নির্দেশিকা জারি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যের দোকানও খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এখনও শপিং মল বা সুপার মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
রমজান মাসের শুরু থেকেই লকডাউনে বড়সড় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এখন থেকে শর্তসাপেক্ষে জরুরি পরিষেবা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি ছাড়াও খোলা যাবে দোকানপাঠ। শুক্রবার রাতে নির্দেশিকা জারি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্যের দোকানও খোলার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এখনও শপিং মল বা সুপার মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুরসভা এলাকার বাইরে বসতিপূর্ণ এলাকা ও বাজার এলাকায় এখন থেকে দোকানপাঠ খোলা যাবে। শপস অ্যান্ড এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনের আওতায় যেসব দোকান নথিভুক্ত আছে, তাঁরা শনিবার থেকে ব্যবসা চালু করতে পারবে। তবে দোকান খুলতে হবে করোনা সংক্রান্ত কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে।

নতুন নির্দেশিকার ফলে পুরসভা এলাকার বাইরে বাজার, বা আবাসনের আশেপাশে সব ধরনের দোকান খোলার অনুমতি পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ কর্মচারীকে নিয়ে কাজ করা যাবে। অন্যদিকে পুরসভা এলাকায় পুরসভার অনুমতি নিয়ে একক দোকান এবং বসতিপূর্ণ এলাকায় দোকান খোলা যাবে। তবে, শপিং মল বা সুপার মার্কেটগুলি এখনও বন্ধ থাকছে। ফলে, মল বা মার্কেট কমপ্লেক্সে থাকা দোকানপাঠ এখনই খোলা যাবে না। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় বহু ব্যবসায়ী স্বস্তি পাবেন। অসুবিধা লাঘব হবে সাধারণ মানুষেরও।
উল্লেখ্য, করোনা রুখতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন চলছে। দীর্ঘ বিধিনিষেধের গেরোয় আর্থিকভাবে নাজেহাল গোটা দেশ। দেশের নাগরিকদের উপর আর্থিক বোঝা কমাতে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করতে লকডাউন ক্রমশ শিথিল করছে কেন্দ্র। গত ২০ এপ্রিল থেকে লকডাউনের বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। ২৩ এপ্রিলও নির্দেশিকা জারি করে বহু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়। শুক্রবার নতুন নির্দেশিকার ফলে একপ্রকার সমস্তরকম ছোট ব্যাবসায়ীই দোকান খোলার অনুমতি পেয়ে গেলেন।