এক বছরে পেট্রল-ডিজেলের শুল্ক বাবদ দ্বিগুণ আয় মোদী সরকারের, রাজ্যের ভাগে সামান্য
করোনার সময় অন্যান্য ক্ষেত্রে রোজগার কমে যাওয়ায় পেট্রল ও ডিজেলের উপর বাড়তি শুল্ক বসায় কেন্দ্র।

তৃণমূল-সহ বিরোধী শিবির এতদিন যা দাবি করছিল, সংসদে কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যানে কার্যত সেটাই প্রমাণিত হল। সংসদে অর্থমন্ত্রক জানাল, পেট্রল-ডিজেলে (Petrol-Diesel) শুল্ক বাবদ কেন্দ্রের রোজগার ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। অথচ, কেন্দ্রের সেই বাড়তি আয় থেকে রাজ্য ভাগ পেয়েছে নগণ্যই।
সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে পেট্রপণ্যে কর বাবদ কেন্দ্র সরকারের আয় ছিল ১ লক্ষ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। সেই রোজগার ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছিল ৩ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ করোনা মহামারীর (Coronavirus) বছরে পেট্রপণ্যে করের দরুন সরকারের আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। অথচ, এই বাড়তি আয় থেকে রাজ্যগুলি ভাগ পেয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকারও কম।
বস্তুত, করোনার সময় অন্যান্য ক্ষেত্রে রোজগার কমে যাওয়ায় পেট্রল ও ডিজেলের উপর বাড়তি শুল্ক বসায় কেন্দ্র। আসলে মোদি (Narendra Modi) সরকার চাইছিল করোনার সময় অন্যান্য খাতে যে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছিল এবং বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পতে যা খরচ হচ্ছিল, তা একসঙ্গে পুষিয়ে নিতে। সেকারণেই আগের তুলনায় অন্তশুল্ক বাড়িয়ে কয়েকগুণ করা হয়। সেই সঙ্গে বসানো হয়েছিল বাড়তি সেস। যার ফলে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা গেলেও ঘাটতি পূরণ হচ্ছিল কেন্দ্রীয় রাজকোষের। কিছুদিন আগে কেন্দ্র শুল্ক কমানোর আগে পর্যন্ত পেট্রল ডিজেলে কর বাবদ কেন্দ্র পাচ্ছিল ৬৩ শতাংশ, রাজ্য পাচ্ছিল ৩৭ শতাংশ।
সদ্যই পেট্রল ও ডিজেলের শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। একে একে কেন্দ্রের দেখানো পথ অনুসরণ করেছে বিজেপি শাসিত সবকটি রাজ্য। বিজেপির (BJP) জোটসঙ্গীরাও পেট্রপণ্যের উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করেছে। যদিও, অধিকাংশ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির অধিকাংশই ভ্যাট কমাতে পারেনি। যা নিয়ে বিজেপি বিরোধীদের আক্রমণও করেছে। বিরোধীরা পালটা আয়না দেখাচ্ছে সরকারকে। তাঁদের দাবি, পেট্রল-ডিজেল থেকে বিপুল আয় করছে সরকার। সেখান থেকে সামান্য কমলেও রাজকোষে তেমন প্রভাব পড়বে না।