লকডাউনে টানা বন্দি – একই রুটিনে বিষন্ন শিশু মন
করোনা পরিস্থিতি ও তার জেরে লকডাউনে টানা ঘরবন্দি শিশু-কিশোর মনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, এমন আশঙ্কা অনেক অভিভাবকই করছিলেন। মনরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশও সেই ভয়ের কথা জানিয়েছিলেন।
করোনা পরিস্থিতি ও তার জেরে লকডাউনে টানা ঘরবন্দি শিশু-কিশোর মনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, এমন আশঙ্কা অনেক অভিভাবকই করছিলেন। মনরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশও সেই ভয়ের কথা জানিয়েছিলেন। এ বার একটি সংস্থার সমীক্ষায় সেই আশঙ্কার ছবিই অনেকটা উঠে এসেছে।
কলকাতার স্পিচ অ্যান্ড হিয়ারিং ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (এসএইচআইআরসি) তরফে ১ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
মূলত কথা বলা ও শোনার সমস্যা রয়েছে, অটিজম বা সেরিব্রাল পলসি আছে, এমন ২৫০ জন পড়ুয়ার মধ্যে সমীক্ষাটি চালানো হয়। সমীক্ষা চলাকালীন পড়ুয়াদের যে সব প্রশ্ন করা হয়েছিল, তার মধ্যে কয়েকটি এই রকম:

- তারা কি জানে কেন বাড়িবন্দি থাকতে হচ্ছে?
- বাড়িতে থাকতে কি তাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে?
- কী ভাবে তাদের সময় কাটছে?
- লকডাউনে তাদের ঘুমের অভ্যাসে কি কোনও বদল হয়েছে?
- এই সময়ে ভয় বা আতঙ্কের মতো কোনও অভিজ্ঞতা কি তাদের হয়েছে?
- চারপাশের কোনও কিছু কি তাদের কষ্ট দিচ্ছে?
- তাদের খিদে পাওয়ার ক্ষেত্রে কি কোনও বদল হয়েছে?
- পড়াশোনা বা অন্য কাজে মনোনিবেশ করতে কি কোনও সমস্যা হচ্ছে?
এই সব প্রশ্নে তারা যে সব উত্তর দিয়েছে, তার ভিত্তিতে ওই শিশু-কিশোরদের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই তাদের পড়াশোনা বা আশপাশের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন। তাদের ৩৪ শতাংশের মধ্যে টানা ঘরবন্দি থাকতে থাকতে এক ধরনের ভয় কাজ করছে।
অনেক শিশু-কিশোরই বলেছে, বাইরে খেলতে যাওয়া বা স্কুলে যাওয়ার ব্যাপার না-থাকায় ঘুম অনিয়মিত হচ্ছে। কেউ বেশি ঘুমাচ্ছে, কারও ঘুমের সময়টাই বদলে গিয়েছে। সংস্থার অধিকর্তা অমৃতা মিটারের বক্তব্য, লকডাউন সার্বিক ভাবে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যেই একটা বড় প্রভাব ফেলছে।
তথ্যসূত্র: এই সময়