তৃণমূল বিধায়ক খুনের ঘটনায় চার্জশিটে নাম বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন মুকুল রায়ের নাম চার্জশিটে না থাকলেও, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রাখতে চায় সিআইডি।

September 14, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

গত বছর নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খুনের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Supplimentary Chargesheet) নাম রয়েছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। আজ সিআইডি (CID) এই চার্জশিট জমা দিল রানাঘাট মহকুমা আদালতে। ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন মুকুল রায়ের নাম চার্জশিটে না থাকলেও, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত জারি রাখতে চায় সিআইডি। 

গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে কৃষ্ণগঞ্জে খুন হয়ে যান বিধায়ক (TMC MLA) তথা যুব তৃণমূল নেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস (Satyajit Biswas)। পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিজিৎ পুণ্ডারি নামে স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী সময়ে বিধায়ক খুনের দায়িত্বভার সিআইডি’র হাতে তুলে দেয় রাজ্য সরকার।

এরপরই তদন্তে নেমে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি, নির্মল ঘোষ, সঞ্জীব মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। জানা যায়, ধৃতরা প্রত্যেকেই বিজেপির সক্রিয় কর্মী। যদিও ধৃতদের নিজেদের দলের কর্মী বলে মানতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তদন্ত এগোতে গিয়ে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে আসেন জেলা বিজেপি সভাপতি জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)। এফআইআরে তাঁর নাম ছিল। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিআইডি আধিকারিকরা। তৃণমূল বারবারই তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। ততদিনে লোকসভা ভোটে প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী, তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে রানাঘাটের সাংসদ (MP) হয়েছেন জগন্নাথ সরকার।

একাধিকবার সিআইডি’র তলবে তিনি ভবানীভবনে গিয়ে জেরার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রতিবারই জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য ছিল, ”তদন্তে সহযোগিতা করতে এসেছি।” ঘটনার দেড় বছরেরও বেশি সময় পর, রানাঘাট মহকুমা আদালতে সোমবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। দেখা যায়, তাতে নাম রয়েছে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের। এ নিয়ে জেলা বিজেপির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটই প্রমাণ, তরুণ নেতা সত্যজিৎ খুনে আসল অভিযুক্ত কে বা কারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen