সতর্কতা মেনে অফিস করার ভাবনা শহরবাসীর

আজ সোমবার অফিস যাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সমীর বসু। বেহালা সরশুনার বাসিন্দা সমীর হাইকোর্ট সংলগ্ন কিরণশঙ্কর রায় রোডের অফিসে যাবেন স্কুটারে চেপে। মাস্ক আর স্যানিটাইজার তো আছেই। তাঁর কথায়, ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের কথা মাথায় রেখেই স্কুটারে চাপব।’

May 18, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আজ সোমবার অফিস যাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী সমীর বসু। বেহালা সরশুনার বাসিন্দা সমীর হাইকোর্ট সংলগ্ন কিরণশঙ্কর রায় রোডের অফিসে যাবেন স্কুটারে চেপে। মাস্ক আর স্যানিটাইজার তো আছেই। তাঁর কথায়, ‘সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের কথা মাথায় রেখেই স্কুটারে চাপব।’

হাতিবাগানের রূপা হাজারী বেসরকারি ব্যাঙ্কের বালিগঞ্জ শাখায় কাজ করেন। তিনি বাসেই যাতায়াত করেছেন গত কয়েকদিন। সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় আজ থেকে তিনি অভিনব উপায় নেবেন। রবিবার বললেন, ‘বাসে দুটো টিকিট কেটে আমার পাশের সিটটা বুক করে নেব।’ 

কসবার মানিক চক্রবর্তী রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাঁর কথায়, ‘আমি গ্লাভস-মাস্ক পরে বাসে উঠছি। সঙ্গে একটা ব্যাগে পাজামা-পাঞ্জাবি নিয়ে যাই। অফিস পৌঁছে হাত-পা ধুয়ে নতুন পোশাক পরে কাজ শুরু করি। এখন এ ভাবেই চলবে।’

প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের বেসরকারি স্কুলের ক্লার্ক কসবার মনিদীপা মৈত্র বলছেন, ‘দুটো করে মাস্ক ব্যবহার করব। আর যে মাস্ক পরে যাব, স্কুলে গিয়ে সেটা পাল্টে ফেলব। হ্যান্ড স্যানিটাইজার তো ব্যাগেই থাকে।’ 

রাজারহাটের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী খিদিরপুরের মৈনাক রায়ের কথায়, ‘আগামী বুধবার থেকে আমাকে অফিস যেতে হবে। ঠিক করেছি, দু’সেট করে পোশাক নিয়ে যাব। অফিস পৌঁছে পোশাক বদলে নেব। আবার বদলাব বাড়ি ফিরে। এ ভাবেই চেষ্টা করব নিজেকে যতটা সুরক্ষিত রাখা যায়।’

এমনই সব সতর্কতার সঙ্গে দিন কয়েক হল অফিস, দোকান, ব্যবসাকেন্দ্রে যাচ্ছেন বহু মানুষ। আজও যাবেন। বেলগাছিয়ার বাসিন্দা শুভদীপ দত্ত যেমন কাজ করেন সেক্টর ফাইভের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায়। এত দিন ঘরে বসে কাজ করলেও আজ তিনি অফিস যাবেন নিজের গাড়ি নিয়েই। শুভদীপ জানাচ্ছেন, ‘মুখে ডবল মাস্কের পাশাপাশি স্যানিটাইজার নিয়ে যাব। অফিসেও চেষ্টা করব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার।’

লকডাউনের গোড়া থেকেই মোটরবাইকে অফিসে যাচ্ছেন শতদল। তিনি বলছেন, বাসে যা ভিড়, তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। সে কারণেই বাইকে যাওয়া নিরাপদ। তবে বাইকে গেলেও সতর্কতায় কোনও খামতি রাখছেন না তিনি। বলছেন, ‘দু’খানা মাস্ক যেমন পরছি, তেমনই হাতে থাকছে গ্লাভস। যেদিন কাজের জন্য অফিসের বাইরে যেতে হচ্ছে, সেদিন এক সেট অতিরিক্ত পোশাকও নিয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেকদিন স্যানিটাইজ করছি বাইকও।’

তথ্যসূত্র: এই সময়

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen