আম্বেদকর ও নেতাজির নামে ‘জয় হিন্দ’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা মমতার

সভা শুরুর প্রথমেই তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অন্য বার নেতাজি ইন্ডোরে বড় করে এই অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু তবে এবার কোভিডের জেরে তা করা হল না।’

October 5, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নবান্ন সভাঘরে এ বছরের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, মাদ্রাসা, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা–সহ বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার কৃতী ছাত্রছাত্রীদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবর্ধনা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার কৃতীদের সংবর্ধনা জানিয়ে তাঁদের কথা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। সভা শুরুর প্রথমেই তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘অন্য বার নেতাজি ইন্ডোরে বড় করে এই অনুষ্ঠান করা হয়। কিন্তু তবে এবার কোভিডের জেরে তা করা হল না।’

শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যে প্রগতির খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যে বাবাসাহেব আম্বেদকরের নামে ও নেতাজির নামে ‘জয় হিন্দ’ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, জেনারেল কাস্ট কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল এমন পড়ুয়াদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট স্কলারশিপ চালু করা হয়েছে। যাতে তাঁদের উচ্চশিক্ষায় কোনও সমস্যা না হয়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন পড়ুয়াদের জানান, বাংলায় কর্মসংস্থানের কোনও অভাব হবে না।

এদিন কৃতী পড়ুয়াদের হাতে উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হয় একটি ল্যাপটপ, হাতঘড়ি, মানপত্র, পুস্তক, মিষ্টি, ফুল, নোটবুক ও পেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, ওই সকল পড়ুয়া একটি করে ডায়েরিও পাবেন। যার প্রথম পাতায় থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর।

এদিকে, এই কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থ, বই বা অন্য কিছুর অভাবে যাতে কারও পড়াশোনা আটকে না যায় তা দেখতে এদিন জেলাশাসকদের কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে পরীক্ষার্থীরা পাস করেছে তাঁদের কারও যেন ভর্তিতে সমস্যা না হয়। বই নেই বা টাকার অভাবে ভর্তি হতে না পারলে সরাসরি পড়ুয়ারা জেলাশাসকদের চিঠি লিখে আবেদন করবে। জেলাশাসকরা সেটা সরাসরি শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনের হাতে দেবেন। আমার কাছে আসার আগেই যাতে এই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’

বাংলার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখো, তোমাদের কোথাও যেতে হবে না। সারা পৃথিবী তোমায় ডাকবে। কারণ, বাংলার মেধার দৌড় অনেক বেশি। বাংলার ছাত্রছাত্রীরা যেখানেই পড়াশোনার জন্য আবেদন করে সেখানেই সুযোগ পেয়ে যায়। কারণ বাংলার বিপুল মেধা। ইউএন, ইউনেস্কো, হার্ভার্ড থেকে কেমব্রিজ সর্বত্র বাংলার ছেলেমেয়েরা ছড়িয়ে রয়েছে। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন থেকে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই বাংলার।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen