তাজপুর সুমুদ্র বন্দর নির্মাণে আরও একধাপ এগোল রাজ্য, আদানীদের হাতে প্রয়োজনীয় নথি তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

বুধবার সন্ধেয় নিউটাউনের ইকো পার্কে বিজয়া সন্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল নবান্ন।

October 12, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

বুধবার সন্ধেয় নিউটাউনের ইকো পার্কে বিজয়া সন্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি থেকে শুরু করে শিল্প ও বণিকসভার প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন আদানি শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানীর ছেলে তথা আদানী পোর্টসের সিইও করণ আদানীও। সেখানেই ঘরোয়া পরিবেশে করণ আদানীর হাতে তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য এদিন লেটার অফ ইন্টেন্ট তথা এলওআই তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার।


তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগেই। ধাপে ধাপে সেই কাজ এগিয়েছে। আগেই এই বন্দর তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানী। তাঁর সঙ্গে নবান্নে বেশ কয়েকবার বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্য মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত পেয়ে আদানী গোষ্ঠীর হাতেই তুলে দেওয়া হয় বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এই সিদ্ধান্ত হয়। বুধবার বিজয়া দশমী উপলক্ষে ইকো পার্কে রাজ্য সরকার আয়োজিত সম্মিলনীতে সেই কাজই আরও একধাপ এগিয়ে গেল।


কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে তাজপুরের কাছে এই গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা হবে। জাতীয় সড়ক থেকে প্রস্তাবিত বন্দরের দূরত্ব হবে মাত্র ৫ কিলোমিটার। আর কাছের রেল স্টেশন হবে রাজনগর। এই বন্দরের ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলের নাব্যতা থাকবে ১২.১ মিটার। জোয়ারের সময়ে সেই নাব্যতা আরও বেড়ে দাঁড়াবে ১৬ মিটার। তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে যেমন জলপথে বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, তেমনই হলদিয়া বন্দরের উপর থেকেও চাপ কমবে। নবান্ন জানিয়েছে, এই বন্দর নির্মাণের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। পোর্টের সঙ্গে আনুসঙ্গিক পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ হবে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হতে চলেছে তাজপুরে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen