রাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে বিজেপিকে চাঁচাছোলা জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরো বলেন, “আমাদের সময়ে কর আদায় বেড়েছে ২.৯ শতাংশ। এছাড়াও বাংলায় ২২ হাজার কোটি টাকা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। শুধুমাত্র শিল্প ক্ষেত্রেই এক কোটির বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে”।

মঙ্গলবারের নবান্নর সাংবাদিক বৈঠক থেকে সরসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দিকে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
তিনি বললেন, “বার বার বাংলা সম্পর্কে অপপ্রচার করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্যেই বাংলা দারীদ্র দূরীকরণে, ১০০ দিনের কাজে, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, মাইনরিটি স্কলারশিপ, ই- টেন্ডার, ই- গভর্ন্যান্স, পেশাগত শিক্ষার নিরিখে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে”।
অর্থনীতি নিয়ে বিজেপির আক্রমণের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী এদিন তুলে ধরলেন দেশ এবং বাংলার অর্থনীতির তুলনামূলক খতিয়ান।
তিনি বললেনঃ
• দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৪.১৮ শতাংশ। সেখানে বাংলায় ৭.২৬ শতাংশ।
• দেশে জিভিএ বৃদ্ধি ৩.৮৯ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে ৭.৩৯ শতাংশ।
• দেশে শিল্পের বৃদ্ধি .৯২ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে ৫.৭৯ শতাংশ।
• দেশে চাকরিতে সুযোগ বেড়েছে ৫.৫৫ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে ৯.২৬ শতাংশ।
• দেশে কৃষি ক্ষেত্রে গ্রোথ ৪.০৪ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে ৪.৭৪ শতাংশ।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরো বলেন, “আমাদের সময়ে কর আদায় বেড়েছে ২.৯ শতাংশ। এছাড়াও বাংলায় ২২ হাজার কোটি টাকা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। শুধুমাত্র শিল্প ক্ষেত্রেই এক কোটির বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে”।
দেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির অভিযোগে খারিজ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আত্মহত্যা হলেও বলছে রাজনৈতিক খুন। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হলেও বলছে রাজনৈতিক খুন।” এছাড়াও রীতিমতো খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ২০০১ থেকে ১১ সাল পর্যন্ত ৬৬৩ জন রাজনৈতিক নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ ২০১১ সালের পর থেকে সেই সংখ্যাই অনেক কমেছে বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী”।
রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,
• ২০১১ সালে রাজ্যে মাত্র ১৩,০০০ বেড ছিল। এখন তা ৮৫,০০০ হয়েছে।
• হাসপাতালে প্রসব আগে যেখানে ছিল ৬৫ শতাংশ, এখন তা ৯৮.৫ শতাংশ হয়েছে।
• স্কুল ড্রপ আউটের সঙ্খ্যাও ব্যপক হারে কমেছে রাজ্যে।
• দশটি নতুন মেডিক্যাল কলেজও হচ্ছে রাজ্যে।
• স্বাস্থ্যে রাজ্যের বাজের ৩,৫৮৪ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১১,০০২ কোটি টাকা করা হয়েছে।
• প্রসবকালীন মৃত্যুর হার ১১৭ শতাংশ থেকে কমে ৯৮ শতাংশ হয়ে হ্যেছে।
• রাজ্যে অনেক সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল ও ট্রমা সেন্টার হয়েছে।