ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সরকারের তরফে যাই বলা হোক না কেন, ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ ভালোভাবেই শুরু হয়েছে। এইমস এবং আইসিএমআর সহ দেশের একঝাঁক স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
সরকারের তরফে যাই বলা হোক না কেন, ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ ভালোভাবেই শুরু হয়েছে। এইমস এবং আইসিএমআর সহ দেশের একঝাঁক স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দেশে করোনায় পাঁচ হাজার তিনশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষের কাছাকাছি। তবুও, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হচ্ছে দেশে এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি।
ইন্ডিয়ান পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব এপিডেমিওলজিস্টস-এর বিশেষজ্ঞদের তৈরি এই রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই দেশে কোভিডের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তাই দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

সুতরাং, এখনই দেশ থেকে করোনা নির্মূল হয়ে যাবে, এমন ভাবার কোনও অবকাশ নেই। দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের কারণে করোনার ছড়িয়ে পড়ার গতি শুধু দীর্ঘায়িত হয়েছে মাত্র। তাতে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুটা সময় মিলেছে। ২৫ মার্চ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬০৬। কিন্তু, ২৪ মে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৪৫। আসলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও নির্দিষ্ট বাধাধরা ছকেই দীর্ঘ লকডাউনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা দূর করা যায়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুঁথিগত বিদ্যার জোরে আমলারা যা নীতি নির্ধারণ করেছেন, সরকার তাতেই সিলমোহর দিয়েছে। কিন্তু, এই মহামারীর মোকাবিলায় সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের মতামত একবারও নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করলে তা অনেক বেশি বাস্তব সম্মত হত।