নারীবিদ্বেষী টুইট করে নেটিজেনদের প্রশ্নের মুখে বাবুল
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এই টুইট করতেই নেটপাড়ার কুনজরে বাবুল। নারী বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এমনকী খোদ দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর টুইটের বিরোধিতা করেছেন। বিতর্ক এড়াতে শেষ পর্যন্ত টুইট মুছে ফেললেন মন্ত্রী।

ইতিমধ্যেই হিট তৃণমূলের ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগান। নতুন স্লোগানকে হাতিয়ার করে জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল (Trinamool)। এরমধ্যেই এই স্লোগানকে ব্যঙ্গ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটারে আক্রমণ করে বিতর্কে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)।
‘মেয়েরা পরের সম্পত্তি, এবার বিদায় হবে।’ মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এই টুইট করতেই নেটপাড়ার কুনজরে বাবুল। নারী বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এমনকী খোদ দলের নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর টুইটের বিরোধিতা করেছেন। বিতর্ক এড়াতে শেষ পর্যন্ত টুইট মুছে ফেললেন মন্ত্রী।
শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) উদ্দেশ্য করে বাবুল সুপ্রিয় লেখেন, ‘বেটি পরায়া ধন হোতি হ্যায়, ইস বার বিদা কর দেঙ্গে।’ লেখাটির সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। টুইট নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা। কেউ বলছেন, ‘এই তো, আপনার নারী বিদ্বেষী স্বরূপ প্রকাশ করে ফেললেন। এই জন্যই বিজেপিতে যোগ দিতে পেরেছেন।’ কেউ আবার বলছেন, ‘এই নারীবিদ্বেষী মনোভাব উত্তর ভারতের। বাংলার সংস্কৃতি নয়। আপনারা কেন এই বাংলায় বহিরাগত সেটা বার বার প্রমাণ করছেন।’ অনেকে আবার লিখেছেন, ‘বাংলায় মেয়েদের পরের ঘরের সম্পত্তি ভাবা হয় না আজকের দিনে, আপনারা সেই প্রাচীন যুগে পড়ে আছেন।’ কেউ কেউ আবার বাবুলকে নিজের মেয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
এমনকি এই স্লোগান প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ঘরের মেয়েদের অপরের সম্পত্তি মনে করেন না তিনি। বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে গেলে সেটাও তাঁর নিজেরই বাড়ি হয়। এহেন মন্তব্যে যে তাঁর মোটেই সায় নেই, তাও ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন নেত্রী। ভোটের আগে বিজেপি যে এইরকম অবাঞ্ছিত বিতর্কে জড়াতে চাইবে না, লকেটের জবাবেই তা স্পষ্ট। সব মিলে এক টুইটেই দলের মধ্যেই কোনঠাসা বাবুল।