দলবিরোধী কথা বলে কেন বারবার ছাড় পাচ্ছেন রুপা, উত্তাল বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহল

একাধিক ফেসবুক পোস্টে নিজের মতামত ব্যক্ত করা, যা খানিকটা দলের লাইনের সঙ্গে ‘বেসুরো’।

December 17, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

একাধিক ফেসবুক (Facebook post) পোস্টে নিজের মতামত ব্যক্ত করা, যা খানিকটা দলের লাইনের সঙ্গে ‘বেসুরো’। কলকাতা পুরভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী গৌরব বিশ্বাসের পাশে দাঁড়ানো, তাঁর জয়ের প্রার্থনা – একাধিক কাজকর্মে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Rupa Ganguly)। দলের প্রয়াত কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী নির্দল প্রার্থী গৌরবের জয়ের জন্য প্রার্থনা করেছেন বিজেপি সাংসদ। এমনকি, দলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীকে সমর্থনের জন্য বিজেপি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি, ফেসবুক পোস্টে নিজের লেখা চিঠিতে। ফলে তাঁকে নিয়ে দলের মধ্যেই তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, দলের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত মতানৈক্য প্রকাশ্যে আনলেও কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে না দল?

কলকাতা পুরসভার ভোট (Kolkata Municipal Election) আগামী রবিবার। ঠিক তার আগে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ফেসবুক পোস্টে নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনের বার্তা নিয়ে দলের মধ্যে আবার আলোড়ন শুরু হয়েছে। বিব্রত রাজ্য বিজেপি নেতারা। তবে শুধু সমর্থনের বার্তাই নয়, বিজেপি সাংসদের আরও একাধিক মন্তব্য নিয়ে দলের মধ্যে শুরু হয়েছে একাধিক জল্পনা। আর কি রাজনীতিতে থাকতে চাইছেন না তিনি? নাকি ক্ষোভবশত দল ছাড়তে পারেন বিজেপি সাংসদ? কারণ, নিজের লেখা চিঠি, যেটা তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, সেখানে সরাসরি না লিখলেও দলের প্রতি অভিমান ও ক্ষোভই কয়েকটা জায়গায় প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। গেরুয়া শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে, দলের মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করলে ছোটখাট নেতাদের বহিষ্কার (Suspend)করা হচ্ছে। তাহলে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাড় পাচ্ছেন কেন? রূপা যেহেতু সাংসদ, তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিজেপির বঙ্গ শাখার দাবি, যা ব্যবস্থা নেওয়ার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবেন। রাজ্য বিজেপির হাতে কোনও ক্ষমতা নেই। প্রশ্ন তোলা দলের ওই অংশকে এমনটাই বোঝাচ্ছেন রাজ্য নেতারা।

এখন দেখার পরপর দু’বার বিতর্ক (Controversy) তৈরি করার পর রূপার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় কী না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও সূত্রের খবর, কেন তিনি রাজ্য বিজেপির কিছু বিষয় বিরোধিতা করছেন, সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলেছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ। এখন দেখার, রাজ্য বিজেপির ‘রূপা’ বিড়ম্বনা কমাতে আদৌ কোনও হস্তক্ষেপ কেন্দ্রীয় নেতারা করেন কী না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen