প্রিয়া সিনেমা হলে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ
পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়। আমার এখানে তিনটে ফ্লোর রয়েছে। মানুষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে অপেক্ষা করতে পারবেন,’ বলছিলেন অরিজিৎ।

এবার প্রিয়া সিনেমা হলে দেওয়া হবে করোনার টিকা (Covid Vaccine), এমনটাই জানালেন সিনেমা হলের কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত। সম্ভবত দেশের মধ্যে এই প্রথম কোনও সিনেমা হলে টিকাকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। কিছুদিন আগে অরিজিৎবাবু নিজে নির্দিষ্ট নিয়মকানুন মেনে শহরের একটি টিকাকরণ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো হয়নি। রোদের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করার পর দাঁড়াতে হচ্ছিল। টিকা নেওয়ার সময়েও সামাজিক দূরত্ব খুব একটা মানা হয়নি। তারপর টিকা নেওয়ার পর অবজারভেশন সেন্টারে গিয়েও তিনি দেখেন প্রচুর মানুষ একসঙ্গে বসে রয়েছেন। ‘তখনই আমার মাথায় আসে, এই ভ্যাকসিনের পুরো প্রক্রিয়া তো আমি প্রিয়াতেই করতে পারি। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়। আমার এখানে তিনটে ফ্লোর রয়েছে। মানুষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে অপেক্ষা করতে পারবেন,’ বলছিলেন অরিজিৎ।
একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কথাও হয়ে গিয়েছে তাঁর। হাসপাতালের আধিকারিকরা এসে সবকিছু দেখেও গিয়েছেন। শেষ মুহূর্তের কয়েকটি প্রোটোকল রয়েছে, সেগুলি হলে গেলেই আর তিন-চার দিনের মধ্যে প্রিয়া সিনেমা হলে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। অরিজিৎ বলছিলেন, ‘এমনিতেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে শুনলেই আমাদের মধ্যে একটা ভয়-ভীতি কাজ করে। রেজিস্ট্রেশনের পর মানুষের জন্য আমরা বড়পর্দায় কার্টুন, শর্ট ফিল্ম কিংবা জনপ্রিয় কিছু ছবি চালিয়ে দেব। সেটা দেখলে মানুষের খানিকটা ভালোও লাগবে।’ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সিনেমা হলের ড্রেস সার্কেলে চিকিৎসকরা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে অবজারভেশন পিরিয়ড কাটানোর ব্যবস্থা থাকছে।
এখানে ভ্যাকসিন নিলে কি অতিরিক্ত অর্থ বহন করতে হবে? ‘সেটা সম্পূর্ণ সেই হাসপাতালের বিষয়। আমি বিনামূল্যে আমার জায়গাটা দিয়েছি। এখান থেকে কোনও টাকা আমি নিচ্ছি না। আমি একটাই বিষয় বলেছি, এই বিল্ডিংয়ের উপরেই আমি এবং আমার পরিবার থাকি, কাজেই সমস্ত নিয়ম মেনে, স্যানিটাইজ করে তবেই পুরো কাজটা করতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষদের জন্য আরও চিন্তা,’ বলছিলেন অরিজিৎ। এই অভিনব উদ্যোগে শহরের আরও সিনেমা হলগুলো যদি এগিয়ে আসে, তার চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।