করোনা ভ্যাকসিন এ বছরই, জানাল হু

তারই ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম মঙ্গলবার এগজিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকের শেষে বলেছেন, আশা করা হচ্ছে এই বছরের শেষে আসবে ভ্যাকসিন।

October 8, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

অবশেষে আশার বার্তা দিল খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানাল, এই বছরের শেষেই ভ্যাকসিন চলে আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। মানব শরীরে প্রয়োগের পরীক্ষা প্রক্রিয়া সামগ্রিকভাবে সফল হলে বিশ্বের তাবৎ করোনা ভ্যাকসিনকে প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারই ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস আধানম মঙ্গলবার এগজিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকের শেষে বলেছেন, আশা করা হচ্ছে এই বছরের শেষে আসবে ভ্যাকসিন।

যদিও এর বেশি তিনি ব্যাখ্যা করেননি। সামগ্রিকভাবে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, ভ্যাকসিন বিপুলভাবে উৎপাদন করে গোটা বিশ্বের সকলের কাছে পৌঁছতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস হয়ে যাবে। তবে এই বছরের মধ্যেই প্রথম দফার ভ্যাকসিন আসার মতো আশার সঞ্চার হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই এগজিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে কোভ্যাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিন ফেসিলিটি প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি দেশে যাতে ভ্যাকসিনের সমবণ্টন হয়, সেই লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর নেপথ্যে অবশ্যই আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চীন, ভারতের ন’টি সংস্থা। যাদের হিউম্যান ট্রায়ালের অগ্রগতি এই সম্ভাবনা প্রবল করেছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মধ্যে আমেরিকার সংস্থা ফাইজার, জার্মানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোদেরনা এবং ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বলা হয়েছে, অন্তত দু’মাসের ডেটা বিশ্লেষণ না করে কোনও ভ্যাকসিনকেই অনুমোদন দেওয়া হবে না। নভেম্বর মাসে কয়েকটি সংস্থা তাদের ডেটা বিশ্লেষণ প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছে। এই প্রক্রিয়া সাফল্য পেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধার্য করা মাপকাঠি অনুযায়ী ভ্যাকসিনের গুণমান যাচাই করা হবে।

নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হওয়ার পর দু’মাসের একটি ফলো আপ সময়সীমা রাখতে হবে। তাই সব প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলেও ভারতে প্রত্যেকের ভ্যাকসিন পেতে আগামী বছরের এপ্রিল বা মে হয়ে যাবে। ডিসেম্বরে ব্যবহারের মতো টিকা ঢুকে গেলেও। কারণ, কোটি কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনে সময় লাগবে। আর স্টোরেজ ও সাপ্লা‌ই প্রক্রিয়াও সুনিশ্চিত করতে হবে তার আগেই। প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন আসার পর পরবর্তী উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির হবে এবং সরকার কতটা সংগ্রহ করবে, নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্তও। সেই কারণে এখন থেকেই রাজ্যগুলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোন রাজ্য সংরক্ষণে কতটা প্রস্তুত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen