‘ফেলুদা’ প্রযুক্তিতে দেশী কিট তৈরী দুই বাঙালীর

নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার প্রশ্নে আশার আলো দেখালেন দুই বাঙালী বিজ্ঞানী। বিদেশী কিটের অভাব দূর করতে নিজেরাই দেশীয় প্রযুক্তিতে বানিয়ে ফেলেছেন নতুন ধরনের কিট। যাতে কম খরচে ও কম সময়ে সংক্রমণ পরীক্ষা সম্ভব হবে।

April 8, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নোভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার প্রশ্নে আশার আলো দেখালেন দুই বাঙালী বিজ্ঞানী। বিদেশী কিটের অভাব দূর করতে নিজেরাই দেশীয় প্রযুক্তিতে বানিয়ে ফেলেছেন নতুন ধরনের কিট। যাতে কম খরচে ও কম সময়ে সংক্রমণ পরীক্ষা সম্ভব হবে। 

দেশীয় এই প্রযুক্তির পুরো নামটি বেশ খটমট (FnCas9 Editor Linked Uniform Detectio• Assay)। তবে এর সংক্ষিপ্ত নামটি কিন্তু বাঙালীর একান্তই আপন, ফেলুদা (FELUDA)।

নোভেল করোনাভাইরাস প্রশ্নে আশার আলো দেখালেন দুই বাঙালী বিজ্ঞানী। চিত্র সৌজন্যেঃ আনন্দবাজার

করোনা পরীক্ষার কিটের হাহাকার রয়েছে শুরু থেকেই। ফলে যথেষ্ট পরীক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগে সরব রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও বিরোধীরা। তাই কিটের প্রশ্নে বিদেশের উপরে নির্ভরতা কমাতে এই দেশীয় কিট বানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স এবং ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানী সৌভিক মাইতি ও দেবজ্যোতি চক্রবর্তী।

বিদেশী কিটের মাধ্যমে পরীক্ষায় যেখানে প্রায় ৪৫০০ টাকা ও এক দিন সময় লেগে যায়, সেখানে দেশীয় প্রযুক্তির এই কিটে এক ঘণ্টায় ফল জানা সম্ভব। খরচ মাত্র ৫০০ টাকা। প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল খুব ইতিবাচক। 

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সাত দিনের মধ্যে বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে আসতে চলেছে এই দেশীয় কিট। ফলে বাছবিচার না-করে জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরীক্ষা করা সম্ভব হবে কেন্দ্রের পক্ষে। বোঝা যাবে, দেশে ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে কি না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen