করোনার আবহে আশঙ্কার কুমারটুলি, মন ভাল নেই মৃৎশিল্পীদের

করোনা কাঁটায় দুর্গাপুজো তো বটেই, প্রায় তিনশো বছরের পুরনো কুমোরটুলিতেও আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে।

September 19, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনার কোপে অথৈ জলে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা। করোনা এবং আম্পান, পরপর দুই বিপর্যয়ের জেরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে শিল্পীদের। পুজো হবে তো? আশা-আশঙ্কার দোলাচলে রয়েছে কুমোরটুলি। এখনও বায়নাই হয়নি অর্ধেক ঠাকুরের। মৃৎশিল্পীরা চাইছেন, প্রতিমার বায়না করুক পুজো উদ্যোক্তারা। ছোট করে হলেও যেন পুজো হয় এবার। সেই অনুযায়ী, প্রতিমার সাইজ ছোট করতেও আপত্তি নেই শিল্পীদের। করোনা কাঁটায় দুর্গাপুজো তো বটেই, প্রায় তিনশো বছরের পুরনো কুমোরটুলিতেও আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে।

মোহন বাঁশি রুদ্র পালের পরম্পরা চালিয়ে যাচ্ছেন রামকৃষ্ণ রুদ্র পাল। তাঁর মুখোমুখি হয়েছিল দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি জানান, এখন ৫ ফুট, ৬ ফুট, সাত ফুটের বেশি আর হচ্ছে না ঠাকুর। আগে বিদেশে মা পাড়ি দিতেন, ছোট ছোট থারমোকলে রূপ দেওয়া হতো বা কাঁচের বাক্স করে পাঠানো হতো। এবার সেই ঠাকুরের সংখ্যাও কমে গেছে।

মৃৎশিল্পী বলেন, বড় ঠাকুরের বায়না আসেনি, অর্থ, পরিশ্রম সবটাই গেছে। তা নিয়ে কিছু করার নেই আপাতত। সবাই ছোট মা দুর্গা নিয়েই পুজো করতে চাইছে। বড় ঠাকুরের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু বলছে না আমরা এখন বড় ঠাকুর করব না। মোটামোটি ছোট।

তিনি বলেন, এই রকম পরিস্থিতি জীবনে এই প্রথম দেখছি। সবকিছু হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পয়সা আসার কোন সম্ভবনা নেই। সবই ছোট ছোট মূর্তি পূজো হবে। মার্চের আগে অবধি পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তখন অনেকে বায়না করেছেন, পরে তা ক্যান্সেল করে দিয়েছেন। তাদের তো বলেছিলাম যে, পুজোতো হবেই। তারা বলেছিল পরের দিকে মিটিং করে বুঝবো। তখন তারা বায়না ক্যান্সেল করেছিল। পরে ছোট ঠাকুর অর্ডার দিয়ে গেছে।

চোখে জল, বুকে একরাশ বেদনা নিয়ে তিনি বললেন, কোভিডের কারণে কুমোর পাড়ায় গভীর ক্ষত হয়ে গেল। মোহন বাঁশি রুদ্র পালের ছোট ছেলে তপন রুদ্র পাল, আমরা একসাথেই কাজ করছি। এখন কোন উপায় নেই। ছোট ঠাকুরই অর্ডার নিয়ে করতে হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen